ব্যাটিং পারদর্শী প্রথম সাতজনের মধ্যে চারজন পেলেন দুই অঙ্কের ছোঁয়া। তবে কেউই ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না। এমন ব্যর্থতায় এক পর্যায়ে ১৩৭ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে ফেলল বাংলাদেশ। শেষমেশ কোনোমতে তাদের পুঁজি দুইশ পেরোলো লেজের দিকের ব্যাটারদের কল্যাণে।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে টাইগাররা। সোমবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে ২০২ রানে অলআউট হয়ে গেছে তারা। টস জিতে আগে ব্যাট করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল খেলতে পেরেছে মাত্র ৩৮.৪ ওভার।
বাংলাদেশ সবশেষ ওয়ানডে খেলেছে দুই মাস আগে। ক্যরিবিয়ান সফরে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছিল তারা। এরপর ক্রিকেটাররা ব্যস্ত ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ বিপিএলে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নামার আগে তাই প্রস্তুতি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ টি-টোয়েন্টির ঢং থেকে বেরিয়ে ওয়ানডে মেজাজের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে তাদের। কিন্তু সেই পরীক্ষায় বাংলাদেশের ব্যাটাররা হলেন ব্যর্থ।
চারে নেমে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫৩ বল মোকাবিলায় তিনটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান তিনি। ওপেনার সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে চারটি চারে ৩৫ রান। নয়ে নেমে তানজিম হাসান সাকিব করেন ৩০ রান। ২৭ বল খেলে চারটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি।
ইনিংসের তৃতীয় বলেই বোল্ড হয়ে যান তানজিদ হাসান তামিম। এরপর সৌম্য ও শান্তর জুটিতে আসে ৪৪ রান। বাংলাদেশের অধিনায়ক সুবিধা করতে পারেননি। ২১ বলে ১২ রান করে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন শান্ত। থিতু হওয়া সৌম্য এরপর রানআউট হয়ে থামেন।
৬৩ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর প্রতিরোধ গড়েন মিরাজ ও তাওহিদ হৃদয়। তাদের চতুর্থ উইকেটে জুটিতে আসে ৫৬ রান। এই জুটি ভাঙার পর মড়ক লাগে বাংলাদেশের ইনিংসে। মাত্র ১৮ রানের মধ্যে তারা হারায় ৪ উইকেট। সবগুলোই নেন শাহিনসের লেগ স্পিনার উসামা মীর।
হৃদয় ৩৩ বলে ২০ রানে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। মুশফিকুর রহিম ও জাকের আলী অনিক টিকতে পারেননি। মুশফিক ১৪ বলে করেন ৭ রান। এর দুই বল পর সাজঘরে ফেরেন মিরাজ। জাকের থামেন ৫ বলে ৪ রানে।
দেড়শর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় থাকা বাংলাদেশকে এরপর টানে লোয়ার অর্ডার। অষ্টম উইকেটে ৩৪ রান যোগ করেন তানজিম ও রিশাদ হোসেন। রিশাদ ১৫ বলে ১৪ করার পর তানজিম হন বোল্ড। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন নাসুম আহমেদ। তিনি ১৬ বলে করেন ১৫ রান। তাসকিন আহমেদ অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ৪ রানে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের স্কোয়াডে থাকা ব্যাটারদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও পারভেজ হোসেন ইমন এই ম্যাচে খেলছেন না।