শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

সন্তানের কথা বলতে গিয়ে মঞ্চেই জ্ঞান হারান অভ্যুত্থানে নিহত শাকিলের মা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১২:০২ পিএম

সন্তানের কথা বলতে গিয়ে মঞ্চেই জ্ঞান হারান অভ্যুত্থানে নিহত শাকিলের মা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত জুলফিকার আহমেদ শাকিলের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা বিবি আয়েশা। একপর্যায়ে তিনি মঞ্চেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘চিত্রলেখায় জুলাই অভ্যুত্থান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। শাকিলের মা যখন তার সন্তানের হত্যার স্মৃতিচারণ করছিলেন, তখন তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। কিছুক্ষণ পর তিনি মঞ্চেই জ্ঞান হারান।

এ সময় উপস্থিত অতিথিরা দ্রুত তার কাছে ছুটে যান ও তাকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করেন। অজ্ঞান হওয়ার আগে সন্তানের হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন শাকিলের মা।

তিনি বলেন, আমার ছেলে দেশের জন্য, মানুষের জন্য আন্দোলনে নেমেছিল। তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমি বর্তমান সরকারের কাছে আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

বিবি আয়েশা বলেন, আমার ছেলেকে কবর দেয়ার ছয় মাস পর মরদেহ উত্তোলনের জন্য থানা থেকে বলা হয়েছে। এটা আমি সহ্য করতে পারব না। যারা আমার ছেলের হাড় বের করেছে, তাদের ছেলের হাড়ও তারা দেখুক।

জুলফিকার আহমেদ শাকিল ঢাকার জুলাই গণ অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন। পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে পরে মৃত্যুবরণ করেন।

ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মো. ছিদ্দিক মৃধার বড় ছেলে শাকিল ঢাকার ধানমন্ডির ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের (ইউডা) চারুকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ নম্বরে পুলিশের গুলিতে আহত হন তিনি। বন্ধুরা তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আগারগাঁও নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ৭ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে তিনি মারা যান। পরের দিন ৮ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টায় ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ভেলুমিয়া গ্রামের বাগমারা রাঢ়ী বাড়ির দরজার জামে মসজিদের পাশে তাকে দাফন করা হয়।