হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির ওপর জনগণের তেমন আস্থা নেই। আবার দলটির এককভাবে ক্ষমতায় যাবার সক্ষমতাও নেই।
নিজ সংগঠনের এই দুইটি দুর্বলতার কথা স্বয়ং স্বীকার করে নিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মুহাম্মদ কাদের। তারপরও আওয়ামী লীগের সঙ্গ ছেড়ে দলকে শক্তিশালী করার দিকে নজর দিচ্ছে জাতীয় পার্টি। তবে জাতীয় পার্টির এমন ঘোষণায় আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয় বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
সাবেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সাথে তাদের গাঁটছড়া সেই ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচন থেকে। নির্বাচনের আগে নানা নাটকীয়তার পরও দশম এবং একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গী হয় দলটি। এই দুটি সংসদেই প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসে জাতীয় পার্টি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি প্রায় দেড় বছর। নির্বাচন নিয়ে আবারও অনেকটা নাটকীয় ভাবেই আওয়ামী লীগ বা বিএনপি দুই জোটকেই নাকচ করে দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। কিন্তু এককভাবে লড়ার সাংগঠনিক অবস্থা কি জাতীয় পার্টির আছে? আওয়ামী লীগ বা বিএনপি দুই শক্তিশালী ভীতের বিপরীতে জাতীয় পার্টির ওপর কতোটা আস্থা রাখতে পারবে মানুষ?
এই দুই বিষয়ে দলের দুর্বলতা মেনে নিয়েই জি এম কাদের জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগেই দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে এবং ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেয়া হবে। জাতীয় পার্টি আর আওয়ামী লীগের সাথে নেই তার এমন ঘোষণায় বিচলিত নন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, নির্বাচনের এখনো ঢের বাকি। এরমধ্যে জোট মহাজোটের নানা মেরুকরণ হবে। কে কোন জোটে যাবে সেটাই ঠিক হবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর। এখন কিছুই বলা যাচ্ছে না।