রাজধানীর হাতিরঝিল থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাসুদ আলম নামে এক আমেরিকা প্রবাসীকে ভয় ভীতি দেখিয়ে দেশ ত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধে সাইফুল ও তার অনুসারীরা হামলা চালায় ওই আমেরিকা প্রবাসী মাসুদের উপর। কিন্তু বিধিবাম। ভুক্তভোগী ওই প্রবাসী হামলার ঘটনায়। থানায় মামলা করতে গেলেও অদৃশ্য কারণে মামলা নিতে গড়িমসি করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
পরে গত বুধবার গণমাধ্যমে ‘নিয়ন্ত্রণহীন দখল-চাঁদাবাজি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয় দেশের প্রথম সারির স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম। এরপরই অনেকটা নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
মামলা নেয় থানা পুলিশ। হাতিরঝিল থানায় প্রবাসী মাসুদ আলমের দায়েল করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর হাতিরঝিল থানার বাগিচার টেক এলাকার একটি প্লট ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছে প্রবাসী মাসুদ আলম। যার নম্বর (১৯/সি)।
কিন্তু গত ১ জানুয়ারি বিল্লাল, রাকিবুল, মহিউদ্দিনসহ ২০/২৫ জন অজ্ঞাতনামা হাতিরঝিল থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাইফুলের অনুসারী তাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে জখম করে। এসময় মাসুদ আলমকে হাতিরঝিল ছাড়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেয় সাইফুল ও তার অনুসারীরা। পরে স্থানীয় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু বিপত্তি বাধে ভিন্ন জায়গায়, মাসুদ ও তার পরিবার রীতিমতো আত্নরক্ষায় বাধ্য হন দেশত্যাগে।
সোমবার রাতে সাবিক বিষয় নিয়ে মুঠফোনে কথা হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকের সাথে। এসময় তিনি বলেন, নৈরাজ্য, হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, দখল, চাঁদাবাজির ঘটনায় নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
যারাই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ন্যূনতম সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর এবিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির রিপোর্টের উপর সিধান্ত নেয়া হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ন আহবায়ক সাইফুল ইসলাম এই প্রতিবেদকে বলেন, এগুলো সব মিথ্যা বানোয়াট। এর একটি যদি প্রমাণ করতে পারেন আমি ঢাকা ছেড়ে চলে যাবো ভাই। আমাকে ফাসনো হয়েছে। প্লিজ তদন্ত করে সঠীক ব্যবস্থা নিবেন।