শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
গির্জায় গির্জায় চলছে প্রার্থনা

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৯:১২ এএম

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

আজ ২৫ ডিসেম্বর। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে এবং নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে দিনটি। গির্জায় গির্জায় চলছে প্রার্থনা।

 

 

 

বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলো ভেতরে-বাইরে রঙিন কাগজে ঢেকেছে। গির্জার চারপাশে বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ভেতরে ক্রিসমাস ট্রিতেও আলোর ঝলকানি। গির্জা প্রাঙ্গণে তৈরি করা হয়েছে গো-শালা। এর পাশে রাখা হয়েছে সান্তাক্লজ।

 

 

 

রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোতে আলোক সজ্জার পাশাপাশি ভেতরে কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও সান্তাক্লজ।

 

 

 

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে উৎসবের আমেজ শুরু হয় গির্জাগুলোতে। সান্তাক্লজের অপেক্ষায় রাজধানীর গির্জাগুলো আট থেকে আশি সব মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। সবারই যীশুখৃষ্টের কাছে চাওয়া দেশ ও জাতির কল্যাণ।

 

 

 

 

বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

 

 

 

তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে আপনাদের সঙ্গে দেখা হলো এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমরা ধর্মীয় সংহতি চাই। সংখ্যালঘু, সংখ্যাগরিষ্ঠ এই শব্দগুলো আমরা চাই না। এদেশে আমরা সবাই এক পরিবার, সবাই মিলে একত্রে থাকব- এটাই আমাদের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সবার এগিয়ে আসতে হবে।’

 

 

 

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা মানুষ একই। আমাদের মানুষ পরিচয় আগে, তারপর ধর্ম। প্রত্যেক ধর্মে শান্তির বাণী আছে। সেই শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। তাহলেই বিভেদ দূর হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা সুন্দর শৈশব পাবে।’

 

 

 

একইদিন কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল চার্চে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

 

 

 

এ সময় তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের দেশের গর্ব। সব সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা যেন নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপন করতে পারে, সে বিষয়ে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

 

 

এছাড়াও তিনি দৃঢ় আশাবাদ জানান যে, অন্যান্য সব সম্প্রদায়ের জনগণ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিন উদযাপনে আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করবে এবং সকলেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সুখী, সমৃদ্ধশালী ও উন্নত দেশ গঠনে এগিয়ে আসবে।

 

 

একই আয়োজনে বাণী রাখেন, দেশের খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মগুরু। দেশের সব অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সকলকে একতাবদ্ধ হয়ে থাকার আহবান জানান তিনি।