কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা, সেখানে জনবান্ধব প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বেশ কিছু কর্মকর্তা। এর মধ্যে অন্যতম হলেন সহকারী ভূমি কমিশনার (এসি ল্যান্ড) মাহমুদুল হাসান। তার সততা, দায়িত্বশীলতা এবং মানুষের প্রতি নিবেদিত কর্মতৎপরতার মাধ্যমে তিনি এলাকাবাসীর কাছে একজন প্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন।

জাতীয় রিলেটেড নিউজ

২০ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে হবে এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

স্মার্টকার্ড বিতরণ ব্যবস্থাপনা হবে সফটওয়্যারে

পাচার হওয়া বিলিয়ন ডলার উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

পাসপোর্টে থাকছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন

যোগদান ও কর্মজীবনের সূচনা
২০২৪ সালের ৪ জুন নাগেশ্বরী উপজেলায় যোগদান করেন মাহমুদুল হাসান। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছেন। তার নেতৃত্বে ভূমি সংক্রান্ত কাজের দ্রুত সমাধান, সেবা প্রদান এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 

মাহমুদুল হাসান মানুষের সেবা নিশ্চিত করার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার অফিস সর্বদা জনগণের জন্য উন্মুক্ত, যেখানে সেবা গ্রহীতারা তাদের জমি সংক্রান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান পাচ্ছেন। ঘুষবিহীন সেবা, প্রক্রিয়াজাতের স্বচ্ছতা এবং তার অফিসের ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি নাগেশ্বরী এলাকার মানুষের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

অভিযান ও রাজস্ব বৃদ্ধি
সম্প্রতি, তিনি ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকারও বেশি সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি করেছেন। তার এই কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি ইটভাটাগুলোর বৈধতা নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছেন। এতে সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং সরকারি রাজস্বও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া, তিনি বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন, যা তার মানবিক দিকটির প্রমাণ দেয়। মাহমুদুল হাসান শুধুমাত্র একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নয়, বরং একজন মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেও পরিচিতি অর্জন করেছেন।

শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও নেতৃত্ব 
মাহমুদুল হাসান নাগেশ্বরী উপজেলা এলাকার ছাত্র আন্দোলনগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ছাত্র নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে আন্দোলনগুলোকে শান্তিপূর্ণ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তার এই উদ্যোগ এলাকার ছাত্র সমাজের কাছে তাকে আরো বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।

উন্নয়নে নতুন মাত্রা
মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে নাগেশ্বরী উপজেলা উন্নয়নে নতুন মাত্রা পেয়েছে। তার সৎ ও আন্তরিক প্রচেষ্টা এলাকার মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। তার উদ্যোগ এবং জনবান্ধব আচরণ নাগেশ্বরী উপজেলার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ভবিষ্যতেও তার কার্যক্রম এলাকার জীবনমান উন্নয়নে অব্যাহত থাকবে।

উপসংহার 
মাহমুদুল হাসানের মতো কর্মকর্তারা প্রমাণ করেছেন যে, আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের হৃদয় জয় করা সম্ভব। তার কাজের মাধ্যমে নাগেশ্বরী উপজেলার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা হয়েছে, যা আগামী দিনে আরও বেশি সুফল বয়ে আনবে।