বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকার গঠনের থেকে একে একে বেরিয়ে আসছে বিভিন্ন সেক্টরের দুর্নিবাজদের অনিয়ম দুর্নীতির ফিরিস্তি। তেমনি এবার বেরিয়ে আসছে ভদ্রবেশী আরেক মহা দুর্নীতিবাজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অর্থ পরিচালক মোঃ আব্দুর রেজ্জাক এর রাজকীয় নানান ফিরিস্তি। তথ্য সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে পাওয়া যায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অর্থ পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক (শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রকল্প)।
আব্দুর রেজ্জাক চাকরি জীবনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করার সময় সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় রাজধানীর ঢাকার আভিজাত এলাকায় নিকুঞ্জে কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে তৈরি করেছেন বিশাল অট্টালিকা।
রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি সংলগ্ন জিগাতলায় রয়েছে কয়েক কোটি টাকা মূল্যর আলিশান ফ্লাট। নিজ জন্মস্থান জামালপুরের গ্রামের বাড়িতে পাঁচতলা ফাউন্ডেশন এর উপর ডুপ্লেক্স বাড়ি । বর্তমানে উক্ত ডুপ্লেক্স বাড়ির দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া জন্মস্থান জামালপুরে রয়েছেন নামে বিনামে রয়েছে বিশাল বিশাল সম্পত্তি। অর্থ পরিচালক আব্দুর রেজ্জাক অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকা জায়েজ করার জন্য আনুমানিক কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে ছেলেকে আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত করেন।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের অর্থ পরিচালক আব্দুর রেজ্জাক বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ব্যাংকে স্ত্রী সন্তানসহ নামে বেনামে রয়েছে কোটি টাকার এফ ডি আর। অনুসন্ধানে গিয়ে নিকুঞ্জ এলাকায় আব্দুর রেজ্জাকের সুবিশাল অট্টালিকার আশেপাশে বসবাস রত বাসিন্দাদের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন রেজ্জাক সাহেব যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অর্থ পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন কিন্তু বর্তমান পদ-পদবী অনুযায়ী তিনি যে পরিমাণ বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন সংসার চালিয়ে ও ছেলের মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে যে পরিমাণ অর্থ উদ্বৃত্ত থাকে সেই পরিমাণ অর্থ দিয়ে নিকুঞ্জ এলাকায় এরকম একটা অট্টালিকা তৈরি করা কোন দিনই সম্ভব নয় । প্রতিবেদক প্রশ্ন রাখেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তাহলে তিনি কিভাবে সু বিশাল অট্টালিকা তৈরি করলেন?
প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান সাংবাদিক সাহেব আপনি বুঝেন না রেজ্জাক সাহেব অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকা এই বিশাল অট্টালিকা তৈরি করেছেন। উপস্থিত কয়েকজন বাসিন্দারা আরো বলেন আব্দুর রেজ্জাক সাহেবকে দেখলে বুঝতে পারবেন না যে তিনি এত বড় দুর্নীতিবাজ।
তাই আমরা আশা করি বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিষয়টি আমলে নিয়ে ভদ্রবেশী লেবাসধারী মহা দুর্নীতিবাজ আব্দুর রেজ্জাকের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে একটি তদন্ত টিম গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বাস্তবায়ন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এহনো দুর্নীতিবাজ দেশ ও জাতির শত্রু। সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় জানতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অর্থ পরিচালক মো: আব্দুর রেজ্জাক এর মুঠো ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়ে কোন সাড়া পাওয়া না গেলে পরবর্তীতে তার ব্যবহৃত মুঠো ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে খুদেবার্তা পাঠানোর পরও কোন প্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি । পরবর্তীতে প্রতিবেদক যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে সরাসরি সাক্ষাতের জন্য গেলে আব্দুর রেজ্জাক সাহেবের পি এস রুমে নিয়ে যান। যাওয়ার পর আব্দুর রেজ্জাক সাহেব কে প্রতিবেদক তার পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে তিনি বলেন আপনি সহকারি পরিচালক (সিকদার মাহমুদ হোসেন) জুয়েলের সাথে দেখা করেন। প্রতিবেদক তখনই প্রশ্ন করেন যে আমি আপনার সাথে সাক্ষাৎ নেওয়ার জন্য এসেছি আমি কেন তার কাছে যাবো? আব্দুর রেজ্জাক সাহেব বলেন আপনি যাবেন তো যেয়ে দেখেন। প্রতিবেদক তখন তার রুম থেকে বের হয়ে সহরকারি পরিচালক সিকদার মাহমুদ হোসেন (জুয়েল) এর রুমে যান।
যাওয়ার পরে সহকারী পরিচালকে প্রতিবেদকে কেন তার রুমে পাঠানো হলো জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের ওপর চড়াও হন। প্রতিবেদক তখন সহকারি পরিচালকের রুম থেকে বেরিয়ে যুব উন্নয়নে অধিদপ্তরের অর্থ পরিচালক আব্দুর রেজ্জাকের রুমে পুনরায় যান । যাওয়ার সাথে সাথে সহকরী পরিচালক শিকদার মাহমুদ হোসেন (জুয়েল) নেতৃত্বে ৬-৭ এসে প্রতিবেদক কে লাঞ্ছিত করে আব্দুর রেজ্জাক সাহেবের রুম থেকে বের করে দেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদক তৎক্ষণাৎ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর সাক্ষাৎ করে বিষয়টি অবগত করেন।