উত্তরা-পশ্চিম থানায় হামলার ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নৌ-পুলিশ সদরদপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, থানা ও কারাগারে বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কীভাবে এটা মোকাবিলা করছে। এর প্রতিকার হচ্ছে কিনা? এসব প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিকার হচ্ছে। উত্তরার ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে, এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারাগারের ঘটনায়ও একইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, অনেককে আমরা ধরেছি। আসল জন (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে নেই। আমরা তাকে কোথা থেকে ধরব। যারা দেশে নেই তাদের তো পুলিশ গিয়ে ধরে আনতে পারে না। এক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে, সেভাবে তাদের আনার কাজ চলছে।’
নানা অজুহাতে রাস্তা অবরোধ করা হচ্ছে। এগুলো সরকারকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলেন, ‘কারণে-অকারণে রাস্তাঘাট বন্ধ করা হচ্ছে। গণমাধ্যম ভালোভাবে প্রচার করলে জনগণ রুখে দেবে। ধৈর্যের সীমা শেষ করে দিচ্ছে। রাস্তা বন্ধ না করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বলতে পারে। কর্তৃপক্ষ কাজ না করলে স্কুল বা কলেজের মাঠে আন্দোলন করতে পারে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কাজ যেন না করে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কতটা সফল সেটা জনগণ বলতে পারবে। গণমাধ্যমকর্মীরা বলতে পারবেন আমরা কেমন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েছি। সেই থেকে বর্তমান পরিস্থিতি কেমন।’
জনগণের আশা পূরণ করতে বর্তমান সরকার চেষ্টা করছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।