রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫
এলজিইডি

প্রকল্প চলে গ্রামে, ১৩৪ প্রকল্প পরিচালক থাকেন ঢাকায়

মিরহাজুল শিবলী

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১২:০২ পিএম

প্রকল্প চলে গ্রামে, ১৩৪ প্রকল্প পরিচালক থাকেন ঢাকায়

 

 

দেশের অন্যতম বৃহত্তম প্রকৌশল সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। পল্লি অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ এবং হাট-বাজার ও গ্রোথ সেন্টার উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করতে কাজ করে সংস্থাটি। পল্লি অঞ্চলকে ঘিরে সংস্থাটির কাজ হলেও এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকল্প পরিচালকরা অবস্থান করেন ঢাকায়। প্রকল্প পরিচালকের তদারকি ছাড়াই গড়ে উঠছে মানহীন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবকাঠামো, হাট-বাজার। বর্তমানে এলজিইডির চলমান ১৩৪ প্রকল্পের সবগুলোর কাজই গ্রামীণ অঞ্চলকে ঘিরে। তবে প্রকল্প পরিচালকদের ১৩৪ জনই অবস্থান করছে ঢাকায়, এলজিইডি ও আরডিইসি ভবনে। 

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্প পরিচালকরা ঢাকায় অবস্থানের কারণে প্রকল্পে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট না থাকায় তদারকিতেও ঘাটতি তৈরী হয়। অপ্রয়োজনীয় ও নামহীন প্রকল্পের মাধ্যমেও অর্থ আত্মসাত ও অস্বচ্ছতার উৎসব দেখা যায়। এর বড় একটি কারণ প্রকল্প পরিচালকরা নিজস্ব কাজে সঠিকভাবে তদারকি করেন না এবং অনেক সময় স্বশরীরে প্রয়োজনীয় পরিদর্শনও করেন না। 

জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজকের বাংলাকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি খোঁজ নেবো। সরকারি প্রকল্প সংক্রান্ত কাজে শতভাগ স্বচ্ছতা ও রাষ্ট্রীয় অর্থের সঠিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্তর্র্বতী সরকার বদ্ধপরিকর। জনগণের প্রদত্ত করের টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে আমরা কাজ করবো। 

সোনাগাজী ও মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়কে ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্ব আছেন মোল্লা মিজানুর রহমান। ৬৯৮ কোটি টাকা বাজেটের এ প্রকল্পের তদারকি করেন আরডিইসি ভবনের সাত তলায় বসে। 

খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. মামুনুর রশিদ। তিনিও খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা লোনাপানির এলাকার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেন আগারগাঁও বসে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ আদনান আখতারুল আজম। তিনিও আগারগাঁও বসে আয়রন ব্রীজের রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন। 
এলজিইডি প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে 

পালন করছেন। এলজিইডি প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে সারাদেশে এলজিইডির ১৩৪টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো পুনঃনির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ, ব্রিজ কালভার্ট, সরকারি স্থাপনা যেমন উপজেলা পরিষদ ভবন, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন, জলাবদ্ধতা নিরসন, পুনর্বাসন, সড়ক নির্মাণ, পৌরসভা উন্নয়ন, লেক উন্নয়নের মতো কাজ করে সংস্থাটি। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে কাজ পরিচালনা করেন এলজিইডি। 

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে এলজিইডির ৫৮২টি অফিস রয়েছে। এসব অফিসের মধ্যে বিভাগীয়, আঞ্চলিক, জেলা, উপজেলা পযায়ের অফিস অন্যতম। এর মধ্যে বিভাগীয় র্পায়ে ৯টি, আঞ্চলিক পযায়ে ১৯টি, ৬৪ জেলা অফিস এবং ৪৯০টি উপজেলা অফিস রয়েছে। 

এলজিইডির প্রকল্প ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালকদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১৩৪ প্রকল্পের অধিকাংশই একটি নির্দিষ্ট বিভাগ, জেলা বা অঞ্চলভিত্তিক। এসব এলাকায় সুনির্দিষ্ট প্রকল্প থাকলেও প্রকল্প পরিচালকরা এখানে অবস্থান করেন না।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংস্থাটির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, এলজিইডির প্রকল্প পরিচালকরা সবসময় রাজধানীতে থাকতে চান। নাগরিক সুবিধা, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা সহ পরিবারকে নাগরিক জীবনের পূর্ণাঙ্গ চাহিদা মেটাতে তারা ঢাকায় থাকতে চান। আবার অনিয়মের ঘটনা ঘটলে দায় এড়ানো এবং জনগনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে প্রশ্নহীন পরিবেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ইচ্ছা থেকে প্রকল্প পরিচালকরা থাকেন রাজধানীতে। মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় অধিকাংশ প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালকতো যানই না, নির্বাহী প্রকৌশলীরাও পরিদর্শন করেন না।

এলজিইডির ঊর্ধতন এক কর্মকর্তা জানান, মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও তদারকির কাজটি করেন জেলা পর্যায়ের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীরা। প্রকল্প পরিচালক মাঝেমধ্যে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে যায়। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্পূর্ণ কাজটি জেলা এলজিইডি অফিস বাস্তবায়ন করে। প্রকল্প প্রস্তাবনার ভেতরেই কোন কর্মকর্তা কতবার পরিদর্শনে যাবে এবং তার যাবতীয় সম্মানী ও ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য বিস্তারিত উল্লেখ থাকে। তবে প্রকল্প পরিচালকদের একটি বড় অংশ মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনের ব্যাপারে উদাসীন।
এলজিইডির আরেক প্রকল্প পরিচালক সোনিয়া নওরীন আজকের বাংলাকে জানান, প্রকল্প পরিচালকেরা নিয়মিত প্রকল্প এলাকা ভিজিট করেন। এছাড়াও মাঠ পর্যায় থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেন জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীগণ। আর পিডির প্রকল্প মনিটরিং করা ছাড়াও ঢাকায় বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সাথে দাপ্তরিক কার্যক্রম সামলাতে হয়। সেজন্য পিডিদের ঢাকাতেই সাধারণত থাকতে হয়। 

রাজধানীতে ঢাকায় কী করেন প্রকল্প পরিচালকরা

প্রকল্প পরিচালকরা প্রকল্প বাস্তবায়নের গুরুদায়িত্ব পালন করেন। প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা, বাজেট প্রণয়ন ও অর্থ ব্যবস্থাপনা করা, সময়সূচি তৈরি করা এবং তা অনুসারে কার্যক্রম পরিচালনা করার কাজটি প্রকল্প পরিচালকের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়। 

প্রকল্পের প্রশাসনিক দয়িত্ব সমূহের মধ্যে প্রকল্পের জনবল নিয়োগ, ব্যবস্থাপনা ও দিকনির্দেশনা প্রদান, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন এবং সরকারি নীতিমালা ও বিধিবিধান অনুসরণ নিশ্চিত করার বিষয়গুলো রয়েছে। অর্থ ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা, দরপত্র আহ্বান, চুক্তি বাস্তবায়ন ও ব্যয় পর্যবেক্ষণ করা এবং আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করা এবং নিরীক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করার কাজটিও প্রকল্প পরিচালক করে থাকেন। 

প্রকল্প বাস্তবায়নের মূল চ্যালেঞ্জিং কাজটি হলো প্রকল্পের তদারকি ও মূল্যায়ন। প্রকল্পের কাজের গুণগত মান ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা, সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংশোধনী গ্রহণ করার দায়িত্ব প্রকল্প পরিচালকের। প্রকল্পটি যদি কোন দাতা সংস্থা (যেমন: বিশ্বব্যাংক, এডিবি প্রভৃতি) অর্থায়ন করে, সেক্ষেত্রে প্রকল্প তদারকিতে তাদের প্রতিনিধি প্রকল্প পরিচালকের সাথে সমন্বয় করে থাকেন। প্রকল্প পরিচালকরা রাজধানীতে থাকায় এসব কার্যক্রমের অধিকাংশই কাগজে কলমে হয়ে থাকে। বাস্তবে অধিকাংশ প্রকল্পের কার্যক্রম প্রকল্প পরিচালকদের পরিদর্শন ছাড়াই কাগজে-কলমে মূল্যায়ন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে কাজের নিন্মমান ও প্রয়োজনীয়তার নিরীক্ষণ ব্যাতিরেকে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যায় করা হয়। 

প্রকল্প পরিচালকরা নিয়মিত অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রস্তুত করা, উচ্চ পর্যায়ে (উপ সচিব, মন্ত্রণালয়, দাতা সংস্থা) প্রতিবেদন উপস্থাপন করা, চূড়ান্ত প্রকল্প মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। এছাড়াও স্থানীয় সরকার বিভাগ, দাতা সংস্থা, ঠিকাদার ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের সাথে সমন্বয় রক্ষা করা, মাঠপর্যায়ের প্রকৌশলীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা, সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের মতামত গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কাজটিও প্রকল্প পরিচালকের করার কথা। উচ্চ পর্যায়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন ব্যাতিত বাকি সকল কাজ প্রকল্প এলাকা সংশ্লিষ্ট। রাজধানীতে বসে এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞ পরিচালনা কতটা স্বচ্ছ হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। কখনো কোন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে কিংবা প্রকল্পের মান নিয়ে জনগণের সাথে  কোন আলোচনা বা মতামত গ্রহণের দৃশ্য দেখা যায় না। প্রায়ই গণমাধ্যমের পাতায় এলজিইডির প্রকল্পে অনিয়ম, দূর্ণীতি এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প তৈরি করে অর্থ লোপাটের মত ঘটনা উঠে আসে।

এলজিইডি থেকে সদ্য অবসরে যাওয়া প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান আজকের বাংলাকে বলেন, এলজিইডির প্রকল্প বাস্তবায়নে ঢাকা থেকে পরিচালনায় আমি কোন সমস্যা দেখছি না। পিডি সাহেবরা তো প্রতিমাসে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। এতে তদারকির কোন সমস্যা হয় বলে আমার মনে হয় না। 

প্রকল্প পরিচালকরা বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী এলজিইডির প্রকৌশলীরা কাজের অগ্রগতি নিয়মিত তদারকি করেন। স্থানীয় সরকার ও জনগণ কাজের মান যাচাই করতে পারে। বিগত সরকারের আমলে এলজিইডির প্রায় সকল প্রকল্প রাজনৈতিক বিবেচনায় বাস্তবায়ন হত। অধিকাংশ ঠিকাদার রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পেশীশক্তি ব্যবহার করে নিম্মমানের কাজ করে বিল তুলে নিত। এতে তারা স্থানীয় প্রকৌশলীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে কিংবা সমাঝোতার মাধ্যমে কাজ করতো। 

যেভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে এলজিইডি:

একটি প্রকল্প গ্রহণের আগে প্রকল্পটির পরিকল্পনা করা হয়। প্রথম ধাপে পরিকল্পনার স্থানীয় জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে প্রকল্প পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান (ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা) ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ নেওয়া হয়। এরপর প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই ও পরিবেশগত প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়। এরপর প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। দ্বিতীয় ধাপে পরিকল্পনা কমিশন ও মন্ত্রণালয় প্রকল্প প্রস্তাব পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়। বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করা হয় এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগীদের (যেমন, বিশ্বব্যাংক, এডিবি) কাছ থেকে অর্থায়ন নেওয়া হয়। তৃতীয়ধাপে প্রকল্পে বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বান ও ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়। টেকনিক্যাল ও ফাইন্যান্সিয়াল মূল্যায়নের মাধ্যমে উপযুক্ত ঠিকাদার নির্বাচন করা হয় ও কাজ শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়। এই পর্যন্ত সম্পূর্ণ কার্যক্রম এলজিইডির ঢাকার অফিস থেকে প্রকল্প পরিচালকের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। 

নিয়ম অনুযায়ী একদম শেষ ধাপে প্রকল্প সমাপ্তির পর চূড়ান্ত পরিদর্শন ও মূল্যায়ন করা হয়। সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে অবকাঠামো হস্তান্তর করা হয় এবং পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। তবে এলজিইডির একটি সুত্র বলছে, যেহুতু একটি প্রকল্পের অধীনে একাধিক ছোট প্রকল্প থাকে। তাই খুব কম ক্ষেত্রেই প্রকল্প পরিচালকরা পরিদর্শন কিংবা সরেজমিনে মূল্যায়ন করে নিয়মানুযায়ী প্রকল্প হস্তান্তর করেন। এক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকরা জেলা-উপজেলায় অবস্থিত অফিসের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই প্রকল্পের ইতি টানেন। 

জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের গবেষণা ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমান সেখ আজকের বাংলাকে বলেন, প্রকল্প যদি নিবিড়ভাবে পযৃবেক্ষণ না করা হয় তাহলে প্রকল্পের বাস্তবায়নের সময় বৃদ্ধি পায়। ফলে ব্যয়ও অনেক বেশী বেড়ে যায়। এজন্য যারা পিডি হবেন, তাদের উচিত হবে নিবিড়ভাবে প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকা।