বুধবার, এপ্রিল ৯, ২০২৫

কুদ্দুসের মানবিক আবেদন: জীবনের সংগ্রামে একটু সহানুভূতির আশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ মার্চ, ২০২৫, ০১:০৩ পিএম

কুদ্দুসের মানবিক আবেদন: জীবনের সংগ্রামে একটু সহানুভূতির আশা

 

কুদ্দুস মিয়া, একজন হতভাগ্য পিতা যিনি একদিকে শারীরিক অক্ষমতার কারণে কাজ করতে পারছেন না, অন্যদিকে তার পরিবারের সদস্যদের জন্য বেঁচে থাকার সংগ্রামে লড়াই করছেন। টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের গুইয়াগুম্বির গ্রামে তার বাস। ৪৫ বছর বয়সী কুদ্দুস এক বছর আগে তার স্ত্রীকে হারিয়েছেন এবং বর্তমানে দুই ছেলে, এক মেয়ে এবং অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা নিয়ে তার সংসার চলছে।

জীবনযাত্রা কখনোই সহজ ছিল না, কিন্তু এখন তার শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হয়ে গেছে। চোখের সমস্যা থাকায় তিনি স্বাভাবিকভাবে দেখতে পান না, যা তাকে দৈনন্দিন কাজকর্মে বাধাগ্রস্ত করছে। তার ছোট্ট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী, সে পরিবারের সদস্যদের জন্য রান্না করে, ছোট ভাই-বোনদের দেখাশোনা করে, এবং স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে সাহায্য করে। ছোট দুই ছেলে শারীরিকভাবে অসুস্থ, তবে তারা কিছু কাজকর্ম করে, যাতে সংসারের কিছুটা সহায়তা হয়।

কুদ্দুসের বৃদ্ধ বাবা অনেক দিন ধরে অসুস্থ, তবে পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। কুদ্দুস বলেন, “মাঝে মাঝে মনে হয় আল্লাহ যেনো আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। ছোট্ট ছেলেমেয়েগুলোর মুখের দিকে তাকালে মনে হয়, আমি কি এমন অপরাধ করেছি যে আল্লাহ আমার সাথে এমন করছে?”

এমন পরিস্থিতিতে কুদ্দুসের একমাত্র আশ্রয় হচ্ছে যদি কেউ তার জন্য একটি অটোরিকশা কিনে দিতে পারেন। তিনি বলেন, "আমার শরীরিক কষ্টের কারণে, আমি কষ্টের কাজও ঠিকভাবে করতে পারি না। কিন্তু যদি আমার কাছে একটি অটোরিকশা থাকতো, তাহলে আমি আমার ছেলে-মেয়ে এবং বাবা নিয়ে কিছুটা শান্তিতে বেঁচে থাকতে পারতাম।"

কুদ্দুসের মানবিক আবেদন আজ তার পরিবারের জন্য একটুখানি সহানুভূতি এবং সহায়তার জন্য। সমাজের সহৃদয় মানুষদের কাছে তার আবেদন, “এত অভাব-অনটনের মাঝে যদি কেউ আমাকে সাহায্য করতে পারেন, তাহলে অন্তত কিছুটা স্বস্তি পাবো।”

এমন পরিবারগুলোর জন্য যে সহানুভূতি ও সাহায্যের প্রয়োজন, তা কুদ্দুসের কাহিনীর মাধ্যমে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।