শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
logo

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. শাহিন জোদ্দারের উপর হামলা


শরিফুল ইসলাম, ফরিদপুর প্রকাশিত:  ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:১২ এএম

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. শাহিন জোদ্দারের উপর হামলা

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো. শাহীন জোদ্দার হামলাকারীদের আঘাতে গুরুতর আহত হন। তার একটি দাঁত পড়ে গেছে। অস্ত্রপাচারের পর তিনি বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

 

ডা. শাহীন জোদ্দার ফরিদপুর সদরের কোমরপুর মহল্লার বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দশতলা ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। 

এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, জেড এন প্রাইভেট নাসিং ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার বাসিন্দা মো. মোত্তাকিম (২১) নামের এক ব্যাক্তির সাথে থাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসক শাহিন রাউন্ড শেষ করে ১০ তলা বিশিষ্ট ভবনের তিন তলা থেকে সিড়ি দিয়ে নিচে নামছিলেন। ওই সময় ওই নার্সিং শিক্ষার্থী মোত্তাকিমের সাথে সিড়ির দোতলায় ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে শাহীন জোয়াদ্দারের সাথে মোত্তাকিমের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ডা. শাহীন মোত্তাকিমকে ঘুশি মারে। 

 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ডা.শাহীন জোদ্দার হাসপাতালের দোতলা থেকে নিচে নেমে আসার পর মোত্তাকিম ও তার সহযোগীরা ডা.শাহীনের উপর চড়াও হয়। এ সময় ডা.শাহীন ঘুষি মেরে হামলাকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে হামলাকারীরা ঘুষি মেরে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ডা.শাহীন আহত করে।

পরে ডা. শাহীনকে উদ্ধার করে হাসপাতালের ওটি'তে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ দিলরুবা জেবা বলেন, হামলাকারীদের হামলায় শাহীন জোদ্দারের একটি দাঁত পড়ে গেছে। আরেকটি দাত মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে দাঁতটিও হয়তো রক্ষা করা সম্ভব হবে না। শাহীন জোদ্দার ফরিদপুরের একজন সুনামধন্য অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক। তাকে যে প্রকাশ্যে মারধোর করা হয়েছে তার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। আমরা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

 

 এছাড়া আমরা বিষয়টি ফরিদপুরের ডিসি, এসপি সহ স্বাস্থ্য বিভাগকে লিখিত আকারে জানাবো। 

দিলরুবা জেবা আরও বলেন, পাশাপাশি হাসপাতালের অর্থপেডিক্স হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. আব্দুল গণি আসানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাত ৯ টায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের নিয়ে একটি জরুরী সভা ডাকা হয়েছে। সভায় এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর থেকে আমাদের চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

 

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শৈলেন চাকমা বলেন, নার্সিং পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর সাথে বচসার জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, হাসপাতালের নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।