বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫
logo

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করে জনবান্ধব প্রশাসন বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন


মোহাম্মদ জুনায়েদ , স্টাফ রির্পোটার প্রকাশিত:  ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:১২ পিএম

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করে জনবান্ধব প্রশাসন বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন


আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন করে জনবান্ধব প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য মানববন্ধব কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বিসিএস (কৃষি) এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ির সম্মুখ সড়কে (কৃষি খামার সড়ক, ফার্মগেট) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে বিসিএস (কৃষি) এসোসিয়েশনের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা জানান, বৈষম্যহীন, মেধাভিত্তিক জনপ্রশাসনের মাধ্যমেই প্রকৃত কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব। তাঁরা জানান একটি বিশেষ প্রশাসনিক ক্যাডার ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারকে ২০১৪ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালে নৈশ ভোট এবং ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে। প্রশাসন ক্যাডার ক্ষমতা অপব্যবহার করে রাষ্ট্রকে ভুল পথে পরিচালিত করায় স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন হয়নি এবং কাংঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। বাংলাদেশের ২৬ ক্যাডার সার্ভিসের মধ্যে ২৫টি ক্যাডার কর্মকর্তাদের পৃথক রেখে অনৈতিকভাবে পদবহির্ভূত পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। তাদের কূটকৌশলের কারণে অন্যান্য ক্যাডার সদস্যদের শুধু পদোন্নতি বঞ্চিতই করেনি বরং সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করা থেকে বিরত রেখেছে। প্রশাসন ক্যাডারের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে মাঠ পর্যায়ে জনগণ কাঙ্খিত সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বক্তারা জানান, ১৯৮০ সালের সচিবালয় ক্যাডার বাতিল করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত পদের অতিরিক্ত সংখ্যক পদোন্নতি নিচ্ছে। প্রশাসন ক্যাডারের নিজস্ব পদ মাঠ পর্যায় সহকারী কমিশনার থেকে বিভাগীয় কমিশনার এবং চেয়ারম্যান, ভূমি আপিল বোর্ডসহ তাদের ক্যাডারে অনুমোদিত পদের বাইরে গিয়ে সচিবালয় কেন্দ্রিক সরকারের সকল পদ দখল করে রেখেছে। বক্তারা মানববন্ধন থেকে তিনটি দাবি উপস্থাপন করেন।
দাবি সমূহ হলো- বৈষম্যহীন জনবান্ধব সিভিল সার্ভিস গঠন, উপসচিব পদে সকল কোটার অবসান করে মেধার ভিত্তিতে সব ক্যাডার থেকে নিয়োগ এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা।
বিসিএস (কৃষি) এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কৃষিবিদ ড. সাহিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ডিএই'র মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম, এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মো. রেজাউল ইসলাম (মুকুল), আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশিদ, কৃষিবিদ মো. আরিফ হোসেনসহ বিসিএস (কৃষি) এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।