মোঃ মামুন মিয়া প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা এর খইরাপারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে* ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বেলা ১১টায় *রাবেয়া-উমেদ আলী সরকার ফাউন্ডেশন* এবং *লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা একুশে* এর উদ্যোগে *৫ শতাধিক* গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে *শীতবস্ত্র বিতরণ* কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
*অনুষ্ঠানে অতিথিরা:*
প্রথমে *রাবেয়া-উমেদ আলী সরকার ফাউন্ডেশনের* প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক *শামীমা নাসরীন রুমি খান* স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত *লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা একুশে* এর সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন:
- *লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি* *শাহিন*
- *লায়ন্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক* *শাকিব*
- *লায়ন্স ক্লাবের চেয়ারপারসন* *রোমান*
- *ভাইস প্রেসিডেন্ট* *শামীমা নাসরীন রুমি খান*
- *মাসুদ খান* সহ অন্যান্য সদস্যরা।
শামীমা নাসরীন রুমি খান আরও বলেন, “এটি আমার বাবার বাড়ি, এখানে অনেক আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত আছেন। আমাদের এই *ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব* এবং *রাবেয়া-উমেদ আলী ফাউন্ডেশন* প্রতি বছর বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, করোনাকালীন সময়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, পথশিশু, বস্তিবাসী এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগণের মাঝে শীতবস্ত্র, খাদ্য সামগ্রী, চিকিৎসা সেবা ও নগদ টাকা সহযোগিতা করে থাকে। ইনশাআল্লাহ, যতদিন আছি, আমাদের এই সংগঠনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”
*অন্যান্য অতিথির বক্তব্য:*
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন:
- *পৌর কৃষক দলের সদস্য সচিব* *নজিবুর রহমান নয়ন*
- *পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক* *আসাদুজ্জামান রুবেল সরকার*
- *শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক* *আশরাফুল ইসলাম রবিন*
- *আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব* *বাদশা ফাহাদ*
- *যুগ্ম আহ্বায়ক* *হাসানুজ্জামান হাসান*
- *জিয়ারুল ইসলাম খান*, *মোসলেম উদ্দিন*, *যুব নেতা আবু তারেক*, *মাহমুদুল হাসান শাকির*, *ফারুক*, *চমক* সহ আরও অনেক জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও সমাজসেবকরা।
*শীতবস্ত্র বিতরণ:*
অনুষ্ঠানের শেষে, *৫ শতাধিক* গরিব ও অসহায় মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শীতকালীন কষ্ট কমাতে এবং সমাজের দরিদ্র জনগণের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য রাখা হয়।
*উপসংহার:*
এই ধরনের সামাজিক উদ্যোগগুলো প্রমাণ করে যে, *রাবেয়া-উমেদ আলী সরকার ফাউন্ডেশন* এবং *লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা একুশে* সমাজের পিছিয়ে পড়া ও অসহায় জনগণের জন্য কাজ করে চলেছে। তাদের এই প্রচেষ্টা শীতের কঠিন সময়ে অসহায় মানুষের মধ্যে সহানুভূতি এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, যা সমাজে মানবিক মূল্যবোধ এবং সহমর্মিতা সৃষ্টি করতে সহায়ক।