বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৫
logo

চট্টগ্রামে আত্মগোপনে থাকা কাবেরী গ্রেপ্তার, পানির ট্যাংকে লুকিয়ে শেষ রক্ষা হলো না


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত:  ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:১২ পিএম

চট্টগ্রামে আত্মগোপনে থাকা কাবেরী গ্রেপ্তার, পানির ট্যাংকে লুকিয়ে শেষ রক্ষা হলো না

চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার এলাকা থেকে *আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজনীন সরওয়ার কাবেরী*কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাবেরী কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক* এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে* নানা বিষয়ে ভিডিও আপলোড করে আলোচিত-সমালোচিত হয়ে উঠেছিলেন। 

 

*গ্রেপ্তারের সময় লুকানোর চেষ্টা:*

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতের দিকে দেবপাহাড় এলাকার একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় কাবেরী পানির ট্যাংকে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করেন। পুলিশ জানায়, তাদের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কাবেরীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কাবেরী ভবনের ছাদে উঠে পানির ট্যাংকের ভেতরে লুকানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশ তাকে পানির ট্যাংক থেকে বের করে আটক করে।

 

*কাবেরীর পরিচিতি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট:*

*নাজনীন সরওয়ার কাবেরী* সাবেক রাষ্ট্রদূত *ওসমান সরওয়ার* ও *কক্সবাজার-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের* ছোট বোন। সর্বশেষ *দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে* তিনি কক্সবাজারের একাধিক আসন থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলেন।

 

 

তিনি ফেসবুকে নানা বিষয়ে ভিডিও আপলোড করতেন এবং সে কারণে তিনি *আলোচিত* ও *সমালোচিত* ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি *কক্সবাজার-৩* আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি বিতর্কিত হয়ে ওঠেন। 

 

*পুলিশি অভিযান এবং গ্রেপ্তার:*

 চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা সোলতানা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কাবেরীকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে । কাবেরীর বিরুদ্ধে কক্সবাজারে একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ জানায়, *৫ আগস্ট* *শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর* তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

 

*উপসংহার:*

এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রেপ্তার, যা কাবেরীর *আত্মগোপনে থাকার* চেষ্টার পরেও সফল হয়েছে। কাবেরী রাজনৈতিক নেত্রীর পাশাপাশি তার ফেসবুক ভিডিওর কারণে ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় তার গ্রেপ্তারকে পুলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।