আর.এ.জাবেদ, ফেনী প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
ফেনী সেন্ট্রাল হাই স্কুলে নতুন বছরে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর আগেই অভিভাবকদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ৩৩০টি আসনের বিপরীতে সম্ভাব্য খালি থাকা আসনে কারা ভর্তি হবে, এই বিষয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার একাধিক অভিভাবক ও ছাত্র প্রতিনিধিরা জড়ো হয়ে ভর্তি বানিজ্যের অভিযোগও তুলেছেন।
তানভীর আহমেদ, ফেনী সরকারি পাইলট প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এবার ৫ম শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছে। ফেনী সেন্ট্রাল হাই স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করে। ১৭ ডিসেম্বর প্রথম মেরিট লিস্টে ৮ম স্থানে নাম আসে তার। ছেলেকে ভর্তি করানোর জন্য বিদ্যালয়ের দেয়া তারিখ ২৪ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে গিয়ে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকে তানভীরের মাতা মমতাজ বেগম। কিন্তু বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোন সাড়া না দেয়ায় অভিযোগ জিজ্ঞেস করলে বলা হয় আসন পূর্ণ হয়ে গেছে।
এছাড়াও একই শ্রেণির ভর্তির প্রথম মেরিট লিস্টে ৫২তম আসা তাসনিয়া শাহরিন লামিছার মাতা সুলতানা আক্তার লিমা, ১৫তম আসা রাওসান তাবাসসুমের মাতা জেবুন নাহার ও ২৪ তম আসা উম্মে হাফসার মাতা রুবিনা আক্তারের অভিযোগ রয়েছে। রাওসান তাবাসসুমের মা জেবুন নাহার বলেন, "তার মেয়ে মেরিট লিস্টে ১৫তম। ২৪ তারিখ সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ে এসে ২টা পর্যন্ত সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমাদের ডাকা হয়নি। ভর্তি নেয়া নাকি শেষ। আর নেওয়া হবে না বলছিল।"
এ ঘটনায় অভিভাবকরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিদ্যালয়ের ফটকে অবস্থান নিলে পুলিশের অনুরোধে তারা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চলে যান।
ঘটনার তদন্ত করতে ওইদিন সন্ধ্যায় বিদ্যালয়ে যান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনজুর আহসান। তিনি জানান, সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখেছেন। এখনও ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়নি।
একই কথা বলেন সিনিয়র শিক্ষক তাজুল ইসলাম। তার ভাষ্যমতে, ২৮ ডিসেম্বর শনিবার থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। এখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ১৬৫ জন ছাত্র ও ১৬৫ জন ছাত্রীর নাম মেরিট লিস্টে রয়েছে। তাদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর আসন খালি থাকলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
ফেনী সেন্ট্রাল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন তসলিম জানান, "নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে। ভর্তি নিয়ে কোনো অনিয়ম হবে না।"