বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৫
logo

ভালুকায় কমেছে শীতকালীন সবজির দাম


হাবিব জিহাদী,ময়মনসিংহ প্রকাশিত:  ০৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ০১:০১ পিএম

ভালুকায় কমেছে শীতকালীন সবজির দাম

ময়মনসিংহের ভালুকায় শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বাজারে। ক্রেতারা পানির দরে কেনা সবজির স্বাদ নিলেও,বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। সবজীর ন্যায্য  দাম না পেয়ে তাদের এখন মাথায় হাত। 
গত কয়েকদিনে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে সব ধরনের শীতকালীন শাকসবজির দাম। ফলে বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলার সিডস্টোর বাজার ও মাস্টারবাড়ীর বাজার, গতিয়ার বাজার,কাচিনা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দামে ক্রেতারা বেশ সন্তুষ্ট। বিক্রেতারাও খুশি।
 কারণ বিক্রি বেশি হওয়ায় তাদের ব্যবসা খারাপ যাচ্ছে না। কিন্তু স্থানীয় কৃষকরা এবার সবজি বিক্রি থেকে উৎপাদন খরচটুকু উঠবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। বেশ কয়েকজন কৃষকের  সাথে কথা বলে মাঠপর্যায়ের এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
গতকাল সিডস্টোর বাজার ঘরে দেখা যায়, ফুলকপি বড় সাইজের প্রতি পিস ১৫-২০ টাকা,শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা,শসা ৩০ টাকা,বাঁধা কপি প্রতি পিস ১৫-২০ টাকা, টমেটো ৫০টাকা,বেগুন ৩০-৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০-৬০টাকা, মুলা ১০-১৫টাকা, নতুন আলু ৪০-৪৫টাকা,লাউ এক সপ্তাহ আগেও ছিলো ৬০-৭০ টাকা
এখন তা ৪-৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা মোঃ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতারা সবজি কেনা বাড়িয়েছেন। আগে যারা আধা কেজি নিতেন, তারা কেজির নিচে কিনছেন না। ক্রেতারা এখন একসঙ্গে একাধিক সবজি কিনে নিচ্ছেন বলেও তিনি জানান। একই বাজার থেকে লাউ ও বেগুন কিনেছেন,মোহাম্মদ উল্লাহ, তার সাথে কথা হয়, তিনি বলেন, সবজির বাজারে এলে এখন কিছুটা শান্তি লাগে। ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দিয়ে ব্যাগ ভর্তি করে সবজি কেনা যায়।আগে যে বেগুন ৭০- ৮০ টাকা কেজি কিনেছি তা এখন কিনলাম ৪০ টাকায়।
যে লাউ আগে কিনতে হয়েছে ৭০-৮০ টাকায়
তা এখন নিয়েছি ৩০ টাকায়। এভাবে কমেছে বিভিন্ন শাকের দাম।
বাজারের আরেক সবজি  বিক্রেতা আজিজুল  বলেন, সবজির দাম কমে একেবারে পানির দামে চলে এসেছে। এ অবস্থা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে তিনি বলেন, সবজির দাম এত কম হলে কৃষকদের লোকসান হবে। কেননা তাদের খরচ উঠবে না। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় দামও কিছুটা কমেছে। দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ ৪৫-৫০টাকা, কিছুটা সাধারণ মানের ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দুশ্চিন্তায় চাষিরা, উৎপাদিত সবজির কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন অত্র অঞ্চলের অধিকাংশ  কৃষক। সবজি বিক্রি করে তাদের খরচ উঠবে  না বলে জানিয়েছেন একাধিক কৃষক। 
বিশেষ করে ঋণ নিয়ে সবজি আবাদকারী কৃষকরা বেশি হতাশ হয়ে পড়েছেন। 
পাড়াগাঁও গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে স্থানীয়ভাবে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। প্রতিটি লাউ ২৫-৩০ টাকা, লালশাকের আঁটি ৫, মুলাশাক ৫, ডাঁটাশাক ৫ টাকা আঁটি।তার নিজের শ্রম, বীজ, সার, জমি লিজসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যয় হয়েছে। বর্তমানে সবজির যে বাজার, তাতে তিনি নতুন করে ঋণে জড়িয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন।