মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী , কক্সবাজার প্রকাশিত: ০৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
প্রসবকালে মায়ের মৃত্যুতে অনেকটা বিপন্ন হাতি শাবক ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী হাসপাতালে মাতৃস্নেহে লালিতপালিত হচ্ছে। মা হারা মাত্র দুদিন বয়সী হাতি শাবকটিকে নিয়মিত লেকটোজেন-১ পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। এছাড়া শীত নিবারণের জন্য সার্বক্ষণিক গায়ে কম্বল জড়িয়ে রাখা হয়।
রোববার (৫ জানুয়ারি) কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইখং রেঞ্জের হোয়াইখং বনবিটের হরিণখোলা বুড়াবনিয়া নামক বনাঞ্চলে একটি গর্ভবতী হাতি শাবক প্রসব করে।
এরপর প্রসবকালীন জটিলতায় মা হাতিটি মারা যায়। তবে প্রসবকৃত হাতি শাবকটি সুস্থ ছিলেন। পরে স্থানীয় লোকজন মাতৃহীন হাতি শাবকটি দেখে সংশ্লিষ্ট বনকর্মীদের খবর দেয়। বনকর্মীরা খবর পেয়ে দ্রুত নবজাতক হাতি শাবকটি উদ্ধার করে বনবিট অফিসে নিয়ে আসে এবং মৃত মা হাতিটি মাঠিতে পুতে ফেলা হয়।
পরে মাত্র একদিন বয়সী হাতি শাবকটি লালন পালন নিয়ে বেকায়দায় পড়েন বনকর্মীরা। বিষয়টি বনবিভাগের উর্ধতন বনকর্মকর্তার নজরে আনা হলে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতি শাবকটি লালন-পালন ও চিকিৎসার জন্য ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে বন্যপ্রাণী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
বন বিভাগের টেকনাফ হোয়াইক্যং রেঞ্জ কর্মকর্তা জহির উদ্দিন মো. মিনার চৌধুরী বলেন, হোয়াইক্যং রেঞ্জের আওতায় হরিখোলা গহীন পাহাড়ে একটি বন্য মা হাতি বাচ্চা শাবক প্রসব করার সময় মা হাতি’র মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে হাতির বাচ্চা শাবকটি উদ্ধারের পরে বন বিভাগের অফিসে নিয়ে আসা হয়। এবং মৃত হাতিটা মাটি ছাপা দেওয়া হয়। শাবকটিকে মায়ের আদলে দুধ খাওয়ানোর পর ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাতি শাবকটি পুরুষ লিঙ্গের। শাবকটিকে নিয়মিত লেকটোজেন-১ পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। এছাড়া শীত নিবারণের জন্য সার্বক্ষণিক গায়ে কম্বল জড়িয়ে রাখা হয়েছে। শাবকটি সুস্থ রয়েছে।
এর আগে বাঁশখালী থেকে তিন মাস বয়সী একটি স্ত্রী লিঙ্গের দুগ্ধপোষ্য হাতির শাবক মরণাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে সাফারি পার্ক হাসপাতালে এনে চিকিৎসা ও দুধ খাইয়ে লালন-পালন করা হয়। বর্তমানে শাবকটির বয়স প্রায় ৩ বছর এবং সুস্থ সবল রয়েছে।