বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫
logo

চাদাবাজ ও মধ্যস্বত্তভোগী ব্যবস্থার বিলুপ করে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে চায় জামায়াত


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত:  ১১ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৭:০১ পিএম

চাদাবাজ ও মধ্যস্বত্তভোগী ব্যবস্থার বিলুপ করে দেশকে  দারিদ্র্যমুক্ত করতে চায় জামায়াত

ক্ষমতায় গিয়ে চাদাবাজ, দূর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ের পাশাপাশি  মধ্যস্বত্তভোগী ব্যবস্থার বিলুপ করে দেশকে  দারিদ্র্যমুক্ত করবে জামায়াত। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে  রাজধানীর মিরপুর-১২ হারুন মোল্লা মাঠে পল্লবী থানা উত্তর জামায়াত আয়োজিত এক কর্মী সন্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা জামায়াতের আয়োজনে  পল্লবী উত্তরের   কর্মী সম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পল্লবী থানা আমীর মাওলানা সাইফুল কাদেরের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুহাম্মদ মহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধনী ঘোষণা করেন জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদ শাহরিয়ার আলভীর গর্বিত পিতা আবুল হাসান। কর্মী  সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে  বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম ও পল্লবী জোন পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন,  রুপনগর থানা আমীর আবু হানিফ, পল্লবী দক্ষিণ থানা আমীর আশরাফুল আলম, পল্লবী মধ্য থানা আমীর রইসুল ইসলাম প্রমূখ
গণমানুষের কল্যাণের ধারণা থেকে রাজনীতির পথচলা শুরু হলেও দেশের প্রচলিত রাজনীতি ও একশ্রেণির রাজনীতিকের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে রাজনীতির কক্ষচ্যুতি ঘটেছে উল্লেখ  করে সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশের কক্ষচ্যুত রাজনীতিকে কক্ষপথে ফেরানোর দায়িত্ব রাজনীতিবিদদেরই। মূলত, শ্রেণি বিশেষের দায়িত্বহীনতার কারণে আমাদের জাতীয় জীবনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তাই সবার আগে আমাদেরকে পুরাতন ও নেতিবাচক স্বভাবের পরিবর্তন করতে হবে। বক্তব্য দেওয়ার ব্যাপারে গ্রহণ করতে হবে অতিমাত্রায় সতর্কতা। হানাহানী ও বিভেদের সৃষ্টি হয় এমন বক্তব্য পরিহার করতে হবে। জাতি বিভক্ত হলে ফ্যাসীবাদ ও আধিপত্যবাদীদের ফিরে আসার পথ সুগম হয়। তিনি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব ও কর্তব্য স্মরণ করে দিয়ে বলেন, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের উচিত জনগণের কাছে তাদের কর্মসূচি দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরা। আর এসব বিবেচনায় দেশের মানুষ ভোট দিয়ে যাদেরকে নির্বাচিত করবেন তারাই দেশ শাসন করবেন। অন্যরা তাদেরকে সহযোগিতা করবে।তিনি দেশে একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান
তিনি বলেন, যাদের কথাবার্তা হিংসাত্মক তারাই ফ্যাসীবাদীর উত্তরসূরি। মূলত, বিগত ৫৩ বছর ধরে জাতিকে নানাভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। ফলে দেশের কোন শ্রেণির ও পেশার মানুষ ভালো ছিল না। শিক্ষক সমাজ জাতির জাগ্রত বিবেক ও মানুষ গড়ার কারিগর হলেও তাদের বেতন ভাতা মোটেই সম্মানজনক নয়। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকেও পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোকে মিনি ক্যান্টনমেন্টে পরিরণত করা হয়েছিলো। শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল অস্ত্র ও মদ সহ নানাবিধ ধ্বংসাত্মক উপকরণ। বাধ্য হয়ে বড় সংখ্যক শিক্ষার্থীদের  বিদেশ পারি দেওয়ার মাধ্যমে মেধা পাচার হয়েছে। যারা দেশে ছিলেন তাদের চাকুরী নেই। তাই জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে অবৈতনিক এমন শিক্ষা ব্যবস্থা কায়েম করবে যাতে আমাদের নতুন প্রজন্ম বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। তিনি সুখী-সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।