শেখ আসাদুজ্জামান , ফকিরহাট প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:০১ পিএম
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটে এখন বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক। আমনের মৌসুম শেষ হতে না হতেই বোরোধান চাষাবাদের জন্য কৃষকের ব্যস্ততা উপজেলা জুড়েই। চলতি বোরো মৌসুমে ধান আবাদের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে আগাম বিনামূল্যে সার ও বীজ সুবিধা পেয়ে কৃষকরা মাঠে কোমর বেঁধেই নেমেছে। চাষাবাদের শুরুতেই প্রণোদনার সার-বীজ সুবিধা পাওয়ায় বোরো চাষে কৃষকের আগ্রহও বেড়েছে। আমনের ভালো উৎপাদন ও দামের পাশাপাশি বিচালি বিক্রির অতিরিক্ত অর্থও তাদের উৎসাহ- উদ্দীপনা বাড়িয়েছে বহুগুণ।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র নিশ্চিত করেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৪’শ জন চাষীকে বোরো ধানের হাইব্রিড বীজ দেয়া হয়েছে। বীজতলায় চারাও ভালো হয়েছে। এ বছর মাঠ পর্যায়ে হীরা-২, ব্যাবিলিয়ন-২, এসএলএইটএইচ, ইস্পাহানি, পাটটেক্স-৩, সিনজেন্টা ১২০৫, ময়না, আফতাব, হীরা-২, সাথী, ব্রি-৮৯, ব্রি-৯৯, ব্রি-১০০, ব্রি-১০২, ব্রি-১০৪ সহ নানা জাতের ধান চাষ করছেন কৃষকরা।
ফকিরহাট উপজেলার ৮ ইউনিয়নে এ বছর ৮ হাজার ৫১৯ হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এর মধ্যে ফকিরহাট সদর ইউনিয়নে বোরোর আবাদ হচ্ছে ১২১০ হেক্টর জমিতে। সদর ইউনিয়নের সাতশিকা, পাগলা দেয়াপাড়া, কাঠালতলা, জাড়িয়া সহ অন্যান্য গ্রাম ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুরোদম ব্যস্ততা কৃষকের জমি প্রস্তুতকরনে, চারা উত্তোলনে ও রোপণে। সদরের কাঁঠালতলা ব্লকে গোলাম মোস্তফা দুই বিঘা জমিতে বোরোধান রোপনের কাজ শেষ করেছেন। সামাদ, লিয়াকত সহ বেশিরভাগ চাষীরই তাদের রোপণের কাজ সমাপ্ত।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিকাবুল ইসলাম জানান, সদরের প্রায় ৭০ ভাগ জমিতে রোপণের কাজ সমাপ্ত করেছে কৃষক। সমস্যা না হলে আবাদ ভালো হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে কৃষি বিভাগ থেকে উপজেলার ৫ হাজার ৪ শত কৃষক পেয়েছিল প্রণোদনার সার-বীজ। বোরোধানের বীজ সময় মত কৃষকদের মাঝে বিতরণ করার ফলে আগাম বীজতলা তৈরির ফলস্বরূপ আগাম রোপন ও আগাম ফসল ঘরে তুলতে পারবে চাষীরা। আবাদ আগাম করতে পারলে কোল্ড এ্যাটাক সহ নানান শীতজনিত রোগবালাই থেকে কৃষকের বোরোর আবাদ মুক্ত থাকে।
বোরো আবাদে প্রয়োজনীয় সকল সেবা ও সহযোগিতা নিয়ে মাঠে কৃষি বিভাগ যেমন কৃষকের পাশে আছে, তেমনি থাকবে।