শরিফুল ইসলাম, ফরিদপুর প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের আলেখারকান্দা গ্রামে ডাক্তার জামাল উদ্দিন খলিফার বাড়ির কেয়ারটেকার ওহাব মাতুব্বর (৭৩) হত্যার ঘটনায় পুলিশ নৃশংসভাবে দায়ী তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল জলিল জানান, চুরি করতে গিয়ে কেয়ারটেকার চিনে ফেলায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে চোরেরা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—
আমিন কাজী (৪০), রাজ্জাক কাজীর ছেলে, ভাঙ্গা উপজেলার আলেখারকান্দা গ্রাম
অভি হাওলাদার (২৪), কাইয়ুম হাওলাদারের ছেলে, সদরপুর উপজেলার চর ব্রাহ্মন্দী গ্রাম
আব্দুর রহমান (২০), মজিবর রহমানের ছেলে, হাজেরিয়া হাজীরকান্দি গ্রাম।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত ওহাব মাতুব্বর দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। অবিবাহিত হওয়ায় বৃদ্ধ বয়সে তার সঙ্গে তেমন কারো যোগাযোগ ছিল না। জামাল উদ্দিন খলিফার মৃত্যুর পর তার ফাঁকা তিনতলা বাড়ির দেখভালের দায়িত্ব পালন করছিলেন ওহাব।
১ জানুয়ারি ভোরে চুরির সময় আসামিরা ওহাব মাতুব্বরকে চিনে ফেলায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ তিনতলার সিঁড়ির রেলিংয়ে দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়।
পুলিশ প্রথমে সন্দেহভাজন আমিন কাজীকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৩ জানুয়ারি দিনভর অভিযান চালিয়ে বাকি দুই আসামিকে গ্রেফতার করে।
৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিহতের বোন নুরজাহান বেগম ভাইকে শীতের পিঠা খাওয়াতে এসে বাড়ি অন্ধকার দেখতে পান। প্রতিবেশীদের সহায়তায় তিনতলা বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
আসামিরা ভেবেছিল বাড়িতে মূল্যবান মালামাল পাবে। তবে চুরির সময় তেমন কিছু না পেয়ে তারা কেয়ারটেকারকে হত্যা করে।
মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
ফরিদপুরের পুলিশ প্রশাসন দ্রুততম সময়ে আসামিদের গ্রেফতার করে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে সফল হয়েছে।