মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫
logo

গুরুদয়াল সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব


জাতীয় সংবাদ প্রকাশিত:  ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম

গুরুদয়াল সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব

জেলার ঐতিহ্যবাহী গুরুদয়াল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে বানানো দুই শতাধিকচর নিয়ে শুরু আজ  হয়েছে দিনব্যাপীচ উৎসব। ২৩ স্টলে এসব পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা।
দারুণ এ আয়োজন দেখতে ও পিঠার স্বাদ নিতে ক্যাম্পাসে এসেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ এসবর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে শীতের মৌসুমে চতুর্থবারের মতো এ আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পিঠা
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর আ.ন.ম. মুশতাকুর রহমান।

শিক্ষক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ মো. মতিউরের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার নায়লা ইয়াসমিন, গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সম্পাদক মো. আজহারুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সিদ্দিকুল্লাহ। পরে তারা পিঠার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।
পাটিসাপটা, ভাপা পিঠা, নকশি পিঠা, মাংস পুলি, দুধ পুলি, নারকেল পুলি, দুধ চিতই, দুধ পোয়া, ঝাল পোয়া, মাল পোয়া, সেমাইচ ডিম পিঠা, মাংস-ঝাল পিঠা, লবঙ্গ লতিকা পিঠা, জামাই পিঠা, রুট পিঠা, থামি পিঠা, অঙ্কন পিঠা, চিরুনি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, দুধ গুগল, বিস্কুট পিঠা, সমুচা পিঠা, ঝিলমিল পিঠা, ডিমের পুডিং, চিকেন চপ, প্রজাপতি পিঠা, চাপটি, টাকি পিঠা, চিতই, ডিম চিতই, দুধের সন্দেশ, ডোবা পিঠা, গোলাপ কাটা পিঠা, পাপড়ি পিঠা, , পায়া পিঠা, শিমফুল পিঠা, অরেঞ্জ জেলি, বেলুনি পিঠা, গোলাপফুল পিঠা, ভ্যানিলা জেলি, মি ডুবা, শল পিঠা, দুধ পলি, সুখ চিতই, মলই পিঠা, খাল মশলা পিঠা, টমেটো ঝাল পিঠা, কুড়িমুড়ি পিঠা, নারিকেলের চিড়া, মাংসের মশলা পিঠা এম পিঠা, এহন সুপি পিঠা, মিষ্টি পিঠাসহ ২২ স্টলে দুই শতাধিক পিঠা দেখা গেছে। একেকটির স্বাদ একেক রকম। একেকটি দোকানে একেক ধরনের পিঠা থাকলেও সবগুলোর নামও অজানা শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থী জয়া বিশ্বাস বলেন,এত রকমের পিঠা সবগুলো আমরা নিজ হাতেই বানিয়েছি। এ পিঠাগুলো তৈরিতে বাড়িতে মাসহ অন্যদের সহযোগিতা নিতে হয়েছে। অনেক পিঠার নাম আমরা জানতাম না। এ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা পিঠাগুলো বানানো শিখলাম ও পিঠার নামও শিখতে পেরেছি। এমন আয়োজন আনন্দের। দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
পিঠা উৎসব দেখতে আসা ফারাজ বলেন,  পিঠা উৎসবের খবর পেয়ে দেখতে এসেছি। এমন আয়োজন দেখে মন ভরে গেছে। বেশ কয়েক রকমের পিঠা খেয়েছি। একেকটির সাদ ও মজা আলাদা।
গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম মুস্তাকুর রহমান বলেন, এবার নিয়ে চারবার শীতকালে আমরা পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। এবারে ২৩টি স্টলে ২১৩ জাতের পিঠা সবগুলো পিঠা অভিভাবকদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা বানিয়েছে। এবার প্রতিটি স্টলেই নতুন নতুন ধরনের পিঠা তৈরি করে নিয়ে এসেছে শিক্ষার্থীরা। মূল শিক্ষার্থীদেরকে আমাদর গ্রামীণ ঐতিহ্য বিভিন্ন পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ আয়োজন। এ উৎসবটি শিক্ষার্থীরা দারুণভাবে উপভোগ করছে। উৎসবে কলেজ ক্যাম্পাসের বাহিরেরও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজনের উপস্থিতিতে সরব রয়েছে।