নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৬:৫৩ এএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া সেই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তার নাম শাকিল আহমেদ রুবেল (২৭)। তার বিরুদ্ধে আরও অর্ধশতাধিক তরুণীকে অপহরণ করে তাদের টাকা-পয়সা, মোবাইল, সোনা গহনা ছিনতাই ও অশালীন আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য দেন সংস্থাটির প্রধান হারুন অর রশিদ।
হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, রুবেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ছয়টি মামলা রয়েছে। তিনি গত ১০ বছরে দেড় হাজারের মতো ছিনতাই করেছেন। অর্ধশতাধিক মেয়েকে অপহরণ করে তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন।
তিনি বলেন, স্থায়ী ঠিকানায় তার এখন পর্যন্ত তিনটা জায়গার নাম পাওয়া গেছে। তিনি একজন ‘মনুষ্যত্বহীন’ ব্যক্তি। তার কৌশলই ছিল স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অপহরণ করে ছিনতাই ও অশালীন আচরণ করা।
হারুন বলেন, অপহরণ ও ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার পর ওই শিক্ষার্থীরা বিষয়টি পুলিশকে জানান না। অপহরণ, টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল খোয়া ও অশ্লীল আচরণ করা হলেও লোকলজ্জার ভয়ে তারা বিষয়টি গোপন করতেন। এতে রুবেলের আসল অপরাধটি অধিকাংশ সময় ঢাকা পড়ে যেত।
সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীটিকে পুলিশ পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। তার কোমরে পিস্তল ছিল। হাতে ছিল ওয়াকিটকি। এই ঘটনার মাত্র কয়েকদিন আগে পুলিশ পরিচয়ে বরিশালে আরেক মেয়েকে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। তার অগে পূর্বাচল, গাজীপুর, উত্তরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফরিদপুরসহ আরও কয়েকটি এলাকায় নারীকে অপহরণ করার কথা স্বীকার করেছেন রুবেল।
ঢাকা শহরে রুবেলের কোনো স্থায়ী ঠিকানা নেই। তিনি হোটেলে হোটেলে থাকতেন। ১৫ আগস্ট ওই ছাত্রীকে অপহরণের সময় যে মোটরসাইকেলটি রুবেল ব্যবহার করেছিলেন, সেটি ১২ আগস্ট উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই করেন বলেও জানান ডিবি প্রধান। রুবেল ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এখন পর্যন্ত তার তিনজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছেন। তারা হলেন, আকাশ, দেলোয়ার ও হাবিব।