আর্ন্তজাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০২ পিএম
গাজা ও মিসরের মধ্যবর্তী রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং থেকে ইসরাইল তাদের সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নিয়েছে। গাজায় ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী শুক্রবার সেখান থেকে সৈন্য সরিয়ে নেয় তারা।
ইসরাইলি আর্মি রেডিওর তথ্যমতে, পুনরায় খোলার প্রস্তুতি হিসেবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি আন্তর্জাতিক বাহিনীর কাছে ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেছে।
নাম উল্লেখ না করে এক নিরাপত্তা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রেডিওটি জানায়, ক্রসিং থেকে সরে গিয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা-মিসর সীমান্তবর্তী একটি এলাকায় তাদের বাহিনী মোতায়েন করেছে।
সূত্রটি আরো জানায়, ইইউ মিশনের পাশাপাশি রামাল্লাহভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ফিলিস্তিনিরাও ক্রসিংটি পরিচালনা করবেন। তাদের ভূমিকা হবে গাজা থেকে বিদ্যমান অনুমতিপত্রে সিল লাগানো।
সম্প্রচারমাধ্যমটির সংবাদদাতা ডোরন কাদোশ জানান, প্রতিদিন ৫০ জন আহত ফিলিস্তিনিকে যাতায়াতের অনুমতি দেয়া হবে। পাশাপাশি আহতদের জন্য তিনজন করে সহযোগী থাকবেন। অর্থাৎ প্রতিদিন মোট ২০০ জন যাত্রী ক্রসিং দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, আহত ব্যক্তি ও তাদের সহযোগীদের সকলের নাম ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী শিন বেট পরীক্ষা করবে। এছাড়াও নামগুলোতে মিসরের অনুমোদন থাকবে।
শুক্রবার ইইউ দক্ষিণ গাজা উপত্যকাকে মিসরের সাথে সংযুক্ত করার মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার প্রয়োজন এমন ফিলিস্তিনিদের জন্য তাদের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং মিশন পুনরায় শুরু করেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, আহতদের প্রথম দলটির গাজা ত্যাগ করার জন্য শনিবার ক্রসিংটি খুলে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গাজায় মানবিক ত্রাণ পাঠানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ রুট রাফাহ ক্রসিং ইসরাইলি আক্রমণের পর ২০২৪ সালের মে মাস থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়।