সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫
logo
পদত্যাগ দাবি

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে যাচ্ছে ইনকিলাব মঞ্চ


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৩:০২ পিএম

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে যাচ্ছে ইনকিলাব মঞ্চ

 

রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদতে জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সেইফ এক্সিট দেওয়ার প্রতিবাদে ও ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে যাচ্ছে ইনকিলাব মঞ্চ।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে মিছিল বের করেন তারা।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদী বলেন, আইন উপদেষ্টা পোস্ট দিচ্ছেন ‘বিচার করতে হবে’। আপনার কাছে জানতে চাই, কে বিচার করবে? আপনি কেন আইন উপদেষ্টা হয়েছেন? গত ৬ মাসে কোন বিষয়ে কাজ করেছেন? অথচ আপনি আওয়ামী আমলে দিন-রাত তাদের বিরুদ্ধে পোস্ট দিতেন। হাংকি পাংকি বুঝিয়ে আর উপদেষ্টা থাকা যাবে না।

‘আমরা বলেছিলাম, আওয়ামী লীগের কমিটির লোকদের গ্রেপ্তার করতে হবে। কিন্তু কোনো অ্যাকশন না নেওয়ার কারণে তারা লিফলেট বিতরণের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যেখানে আওয়ামী সব গুন্ডাদের জেলে ভরার কথা সেখানে ৪ শতাধিক গুন্ডাদের জামিন দেওয়া হয়েছে। বিসিএস ক্যাডার উর্মি তাকেও জামিন দেওয়া হয়েছে। অথচ তার চাকরি থাকারই কথা ছিল না।’

তিনি বলেন, কিছুদিন পরপর আমাদের বিরুদ্ধে একটি গ্রুপকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। তাই, সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা আর কারো বিরুদ্ধে দাঁড়াব না। এখন আমরা ‘কমন শত্রু’ সুশীল লীগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধরব। যে সরকার সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে পারে না তাদেরকে আমরা চুড়ি পরিয়ে দেব। আমরা এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে উপদেষ্টার হাতে লাল চুড়ি পরিয়ে রাখব।

এর আগে দুপুর আড়াইটায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। এসময় তারা ৪ দফা দাবি জানান।

তাদের দাবিগুলো হলো-

১. জুলাই গণহত্যার বিচারের ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের পরিপূর্ণ রূপরেখা সরকারকে প্রকাশ করতে হবে।

২. সব পাবলিক প্রোগ্রামে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের দোসরদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

৩. চট্টগ্রামে যেই কর্মকর্তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পালাতে সাহায্য করেছে এবং প্রতিবাদী ছাত্র-জনতার উপর হামলা করেছে অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৪. যেসব আমলা ও সামরিক কর্মকর্তারা গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে মদত দিচ্ছে অনতিবিলম্বে তাদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।