ফকির আল মামুন, ফরিদপুর প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০২:০২ পিএম
ফরিদপুরে অটোরিকশা চালক ফরহাদ প্রামাণিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই ব্যক্তি গ্রেফতার ।
আসামি গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশ সুপার জানিয়েছে, নেশার টাকা জোগাড় করতেই চালককে হত্যা ও অটোরিকশা ছিনতাইর ঘটনা ঘটে ।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত মো. সুমন শেখ (২১) ও রেজাউল করিম মিন্টু (৪২) পুলিশের জেল হাজতে আছে।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃত সুমন শেখ(২১) হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন হত্যার দিন সুমনসহ তিন জন ফরহাদের অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে ঘুরতে থাকে। এক পর্যায়ে ফরহাদকে দুর্গাপুর এলাকায় নিয়ে হত্যা করে অটোরিকশা পালিয়ে যায় তারা।সুমন সেখ আরো স্বীকার করেন নেশার টাকা জোগাড় করতেই ফরহাদকে হত্যা করে পালিয়ে গিয়ে অটোরিকশাটি ফরিদপুর ভাঙ্গারি পট্টি মিন্টুর দোকানে ১১ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় অটো রিক্সাটি।
পুলিশ সুপার আরো জানান হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক দুই জনকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো জানান রাজবাড়ী জেলা সদরের পাঁচুরিয়া গ্রামের ছাত্তার প্রামাণিকের ছেলে ফরহাদ প্রামাণিক গত ৩০ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর রাতভর তাকে খুঁজতে থাকে স্বজনরা।
পরদিন ৩১ জানুয়ারি দুপুরে সদর উপজেলার ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর কাচারীরটেক এলাকার একটি পুকুরপাড়ে স্থানীয়রা একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা ফরহাদের মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি ফরহাদের বাবা ছাত্তার প্রামাণিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেফতার পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্য মতে ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে মিন্টুর ভাঙ্গারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে
ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও ৪টি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়। মিন্টুকেও গ্রেফতার করা হয়।