বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫
logo

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের লকার খোলার অনুমতি পেল দুদক


আজকের বাংলা ডেস্ক প্রকাশিত:  ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৩:০২ পিএম

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের লকার খোলার অনুমতি পেল দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক তিন শতাধিক কর্মকর্তার লকার খোলার অনুমতি দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।


মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের পরিচালক কাজী সাইমুজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ অনুমতি দেন।


দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকারগুলো খোলা হবে। সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা বা দুর্নীতির মামলা করা হবে।


বুধবার (৫ ফেব্রয়ারি) দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছেন যে, দুদক লকারগুলো খোলার আগে সেখান থেকে কোনো অর্থ বা সম্পদ যাতে কেউ স্থানান্তর করতে না পারে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।


পিপি আরও জানান, এসব লকারে সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ থাকতে পারে বলে দুদকের সন্দেহ। এ কারণে লকার খোলার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।


দুদকের আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে গত ২৬ জানুয়ারি তারা সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি লকার খুলেছিলেন। ওই সময়ে দুদক দেখতে পায় সেখানে ওই ব্যাংকের আরও অনেক কর্মকর্তার লকার রয়েছে। বারবার নোটিশ দিয়েও এস কে সুর সম্পদের বিবরণ না দেওয়ায় আদালতের নির্দেশে দুদক এই অভিযান চালায়।


আবেদনে আরও বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ব্যক্তিগত লকার রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেহেতু ওই সব লকারে অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, সে কারণে লকারগুলো খোলার আদেশ প্রয়োজন।


এর আগে, মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিকিউরিটি ভল্টে সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের লকারগুলো সাময়িকভাবে ফ্রিজ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দেয় দুদক। এরপর সন্ধ্যার দিকে আদালতে লকার খোলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়।