আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১০:০২ এএম
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এলাকার প্রশাসনিক রাজাধানী রামাল্লাসহ বিভিন্ন শহরে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ফিলিস্তিনের কারাবন্দিদের সহযোগিতা প্রদানকারী দুই সংস্থা কমিশন অব ডিটেইনি’জ অ্যাফেয়ার্স এবং প্যালেস্টাইনিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটি বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য।
পূর্ব জেরুজালেম, হেবরন, তুবাস, তুলকারেম, কালকিলিয়া, নাবলুস এবং রামাল্লায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের। গ্রেপ্তারদের মধ্যে শিশু এবং কয়েক জন সাবেক কারাবন্দিও রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
দীর্ঘ ১৫ মাস ভয়াবহ অভিযান চালানোর পর গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। তার দু’দিন পর ২১ জানুয়ারি থেকে পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের একটি শরণার্থী শিবিরে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা, পরে সেই অভিযান তুলকারেম শহর পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয় এবং কয়েক ডজন বাড়িঘর ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এতে ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।
এরপর গত রোববার পশ্চিম তীরের তাম্মুন শহর এবং তুবাস শহরের আল ফারা শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়েও বেশ কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালানোর পর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। একই সময়ে গাজার মতো বড় আকারের না হলেও পশ্চিম তীরেও শুরু হয় অভিযান। কমিশন অব ডিটেইনি’জ অ্যাফেয়ার্স এবং প্যালেস্টাইনিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩ শতাধিক ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
গত কয়েক বছর ধরেই পশ্চিম তীরে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ২০২৩ সালের অক্টোবরের আগ পর্যন্ত পরিচালিত এসব অভিযোনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১০ হাজারেরও অধিক ফিলিস্তিনিকে। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৩৯৭ জনের বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তাদের বিচার প্রক্রিয়াও এখনও শুরু হয়নি বলে জানা গেছে কমিশন অব ডিটেইনি’জ অ্যাফেয়ার্স এবং প্যালেস্টাইনিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটির বরাতে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি