নোয়াখালী প্রতিনিধি প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১১:০২ এএম
সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। একই সময় তারা পার্শ্ববর্তী চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সালের বাড়িতেও ভাঙচুর-লুটপাট চালায়।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে হামলার ঘটনাগুলো ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুইটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করছেন নেতারা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শতাধিক কিশোর-তরুণ ও যুবক লাঠি নিয়ে সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদের বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সাবেক সেনা প্রধানের ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি জাবেদ ইউ আহমেদের দ্বিতল বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং ড্রইংরুমে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তারা আরও জানায়, প্রায় একই সময় একই ব্যক্তিরা পার্শ্ববর্তী চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন ওরফে ফয়সালের বাড়িতেও হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। হামলাকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরা ছিল। তবে হামলা-ভাঙচুরকালে উভয় বাড়ির বাসিন্দাদের কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আর বাড়িতে পাহারাদার যিনি ছিলেন, তিনি ভয়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, এই হামলা-ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে তাদের সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। চৌমুহনীর ঘটনাটি সেখানকার রাজনৈতিক। এর সঙ্গে ছাত্রদের কোনো সম্পর্ক নেই। তাছাড়া তাদের যে কর্মসূচি ছিল সেটি ছিল বৃহস্পতিবার দিনের বেলায়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদের বাড়িতে তার ছোট ভাই জাবেদ ইউ আহমেদের দ্বিতল বাড়িতে একদল লোক সন্ধ্যার পর হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে। ওই তাদের ভবনে কেউ ছিল না। হামলাকারীরা ওই সময় নিচ তলার সোফায় আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর সাবেক পৌর মেয়র ফয়সালের বাড়িতেও হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।