নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৮:৩৪ এএম
পাকিস্তানে ওকারা শহরে একটি ছাগলকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছে পুলিশ, খবর বিবিসির।
বিবিসি জানিয়েছে, ওই পাঁচ জন ছাগলটিকে ধর্ষণ শেষে হত্যার পর পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
আজহার হোসেন নামের একজন ব্যক্তি পুলিশের কাছে অভিযোগে জানান, তার পোষা ছাগলটিকে অভিযুক্ত পাঁচ জন যৌন নির্যাতন করে। এতে ছাগলটির মৃত্যু হয়।
সাতঘরা পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা মুহাম্মদ উসমান জানিয়েছেন, ছাগলটির মৃতদেহ উদ্ধার করে একটি পশু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত করে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। হাসপাতালের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তারা একটি মামলা নথিবদ্ধ করেছেন।
ছাগলটির মূল্য ৬০ হাজার পাকিস্তানি রুপি ছিল জানিয়ে আজহার জানান, ছাগলটি তার ঘরের সামনে বাঁধা ছিল। অভিযুক্তরা বাঁধন খুলে একটি ফাঁকা স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ছাগলটিকে ধর্ষণ করে তারা। পুলিশের কাছে তিনজন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করেন আজহার। বাকি দু'জন অজ্ঞাতনামা।
তিনি আরও জানান, ঘরের সামনে ছাগলটি না পেয়ে তিনি কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে খুঁজতে বের হন। এক পর্যায়ে তারা দেখতে পান অভিযুক্তরা ছাগলটিকে যৌন নির্যাতন করছে। দূর থেকে মালিককে দেখতে পেয়ে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ছাগলটির কাছে পৌঁছানোর আগেই সেটি মারা যায়।
হাসপাতাল থেকে পাওয়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
পুলিশের কর্মকর্তা মুহাম্মদ উসমান জানান, একজন মানুষের সঙ্গে এ ধরনের অপরাধ ঘটলে যতটা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হতো, এক্ষেত্রে একই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় পাকিস্তানের দণ্ডবিধির ৪২৯ ও ৩৭৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে।