রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫
logo

''এবার ৪ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি"


আব্দুল ওয়াজেদ, টেকনাফ প্রকাশিত:  ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৭:০২ পিএম

''এবার ৪ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি"

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর মোহনা সংলগ্ন এলাকা থেকে ট্রলারসহ চার বাংলাদেশি জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।


 মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীর মোহনায় এ ঘটনা ঘটে।
কোস্টগার্ডের শাহপরীরদ্বীপ স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এইচ এম সারতাজ বিন সোহরাব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


অপহৃতরা হলো- টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মো. হাছান (৩০), আব্দু রকিম (২০), মো. জাবের (২৬) ও মো. হাসান (১৬)।
স্থানীয়দের বরাতে লেফটেন্যান্ট সারতাজ বিন সোহরাব বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মো. হাছান চার জেলেসহ তার মালিকানাধীন ট্রলার নিয়ে নাফ নদীতে মাছ ধরতে যায়। এক পর্যায়ে মিয়ানমার দিক থেকে একটি স্পিডবোট করে আসা আরাকান আর্মি অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশি জেলেদের ট্রলারটিকে ঘিরে ফেলে। পরে জেলেদেরসহ ট্রলারটি মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাটি স্থানীয়দের কাছ থেকে কোস্টগার্ড অবহিত হয়। পরে বিষয়টি কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিজিবি ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করি। ’অপহৃতদের উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি নাফ নদীতে কোস্টগার্ড নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বলে জানান, কোস্টগার্ডের এ স্টেশন কমান্ডার।


এ ব্যাপারে টেকনাফের ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘সকালে নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় বাংলাদেশি চার জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি। অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টরা তৎপরতা চালাচ্ছেন। মিয়ানমার অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে সীমান্তের ওপারে অধিকাংশ এলাকা আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মির লোকজনই বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে থাকতে পারে।’এ ঘটনার পর বিজিবি ও কোস্টগার্ড নাফ নদী সীমান্তে নিরাপত্তার পাশাপাশি নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।


এ ব্যাপারে জানতে বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ আশিকুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব না।