আব্দুর রাজ্জাক, সখিপুর প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০১:০২ পিএম
টাঙ্গাইলের সখিপুর শাইল সিন্দুর খালের ৭ কিলোমিটারে প্রায় অর্ধশত স্থানে বাঁধ দিয়ে পুকুর তৈরি করা হয়েছে। এতে সরকারি এই খালটি দখলে চলে যাচ্ছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ।
সরজমিনে দেখা যায়, কাঁকড়াজান ইউনিয়নের সরকারি শাইল সিন্দুর খালে পলাশতলী ব্রিজের দক্ষিণে ও উত্তর পাশে বৈলারপুর-বিন্নাআটা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার অংশে অর্ধশত স্থানে বাঁধ দিয়ে পুকুর তৈরি করা হয়েছে। এতে বর্ষা মৌসুমে পুকুরগুলো ভরে যায় পরে কার্তিক মাসে পানি কমলে সেচ দিয়ে মাছ ধরা হয়।
স্থানীয় কৃষক আবুল হোসেন বলেন, সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে নিজেদের ইচ্ছে মতো পাগাড় (পুকুর) তৈরি করায় খালে পানি কমে গেছে। এতে খালের পাশের কৃষক ও কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
খাল পাড়ের আরেক বাসিন্দা নুরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, খাল খননের জন্য সরকার নিয়মিত বরাদ্দ দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। খাল খননে হয়েছে পুকুর চুরি।
২০২০-২১ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটে শাইল সিন্দুর খালের ১ হাজার ৮০০ মিটার পুনর্খননের কাজ পায় স্থানীয় শাইল সিন্দুর খালের পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি। এলজিইডির মাধ্যমে এ প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয় ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার বহন করবে মোট খরচের অর্ধেক অর্থাৎ ১৮ লাখ টাকা এবং স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে মেটানো হবে বাকি অর্ধেক খরচ।
স্থানীয়রা জানান, খাল খননে অনিয়মের কারণেই বর্তমানে খালের এই মরণদশা। খালে বাঁধ দিয়ে পুকুর তৈরি করা খোরশেদ আলম ওরফে খুরছু ও বাছেদ মিয়া জানান, খালটা ভরাট ছিল। মাছ খাওয়ার জন্য ভেকু দিয়ে খালে এই পাগাড়টি (পুকুর) করেছি। শুধু আমরাই না এই খালে অনেকেই এমন করে পাগাড় (পুকুর) করছে। এতে আমাদের কেউ বাঁধা দেয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল রনী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করা যাবে না। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।