মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
logo

চলাচলের জন্য প্রস্তুত ছয় লেনের দৃষ্টিনন্দন সেতু


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৮:১৩ এএম

চলাচলের জন্য প্রস্তুত ছয় লেনের দৃষ্টিনন্দন সেতু

বাংলাদেশে প্রথম ছয় লেনের দৃষ্টিনন্দন কালনা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য সম্পূর্ণরুপে প্রস্তুত করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ সম্পন্নের পর উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা কালনা সেতুর টোল হারও ইতোমধ্যে নির্ধারণ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

সূত্রে জানানো হয়, ৩০ আগস্ট সেতুর মূল কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর দু’পাশের বাইপাস সড়কের নির্মাণ কাজও সম্পন্ন হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলের জন্য সম্পূর্ণরুপে প্রস্তুত কালনা সেতু। 

পদ্মা সেতু চালুর পর বেনাপোল স্থলবন্দরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে রাজধানী ঢাকা এবং চট্টগ্রামে সহজতর যোগাযোগে এ সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে কালনা সেতু নির্মিত হয়েছে।

কালনা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান জানান, কালনা সেতু দেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু। নেলসন লোস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা) সেতু এটি। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার এবং প্রস্থ ২৭ দশমিক ১ মিটার। উভয় পাশে ছয় লেনের সংযোগ সড়ক প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় প্রায় ৯৬০ কোটি টাকা।

এশিয়ান হাইওয়ের ওপর অবস্থিত এটি। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢাকা, ভাঙ্গা, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, কোলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ভূমিকা রাখবে কালনা সেতু।

কালনা সেতু চালু হলে শুধু জাতীয় ক্ষেত্রেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে এটি। কলকাতা, আসামসহ দেশের মধ্যে বেনাপোল স্থলবন্দর, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ও নোয়াপাড়া নদীবন্দরের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মাইলফলক রচিত হবে।


সূত্রে আরও জানানো হয়, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কালনা সেতু’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কালনাঘাট থেকে ঢাকার দুরত্ব মাত্র ১০৮ কিলোমিটার। ফলে ঢাকার সঙ্গে নড়াইল, বেনাপোল, যশোর, খুলনাসহ আশেপাশের সড়ক যোগাযোগে ১০০ কিলোমিটার থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। তবে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হলেও ভাঙ্গা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত এ ধরণের সড়ক নির্মিত হয়নি।

ভাঙ্গা থেকে নড়াইল-যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক নির্মাণের বিষয়টি প্রকল্পাধীন বলে জানান সড়ক ও জনপথ বিভাগ, খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী।

সৈয়দ আসলাম আলী বলেন, কালনা সেতু চালু হলে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাবে। তাই আপাতত যশোরের মনিহার সিনেমা হল চত্বর থেকে নড়াইলের কালনাঘাট পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সড়কের দু’পাশে ৩ ফুট করে প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সড়কটি ১৮ ফুট প্রশস্ত থাকলেও তা বাড়িয়ে ২৪ ফুট করা হবে। দরপত্রের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দরপত্র অনুমোদন হলে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু হবে।