শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
logo

চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি, মূলহোতা আলমগীর ৬ ও তার ভাই রাজীব ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর


অন্তু দাস (হৃদয়), টাঙ্গাইল প্রকাশিত:  ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০২:০২ পিএম

চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি, মূলহোতা আলমগীর ৬ ও তার ভাই রাজীব ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় মূল হোতাসহ দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।


গত মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জাপুর আমলী আদালতের বিচারক মোছা. রুমি খাতুন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


এর আগে মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোনার পূর্বধলার সাধুপাড়া গ্রাম থেকে আলমগীর হোসোনকে ও তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আশুলিয়া থানার ধানসোনা এলাকা থেকে রাজীব হোসেন (২১)কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা সহোদর দুই ভাই।


তারা মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার আমতলী গ্রামের খোরশেদ শেখের ছেলে। তাদের হেফাজতে থাকা লুন্ঠিত টাকা, মোবাইল সেট, গহনা, জাতীয় পরিচয়পত্র ও এটিএমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।


গত শনিবার সকালে মো. শহিদুল ইসলাম মুহিত (২৯), মো. সবুজ (৩০) ও মো. শরিফুজ্জামান শরীফকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন।


এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য এবং গুপ্তচরদের তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বাস ডাকাতির পরিকল্পনাকারী হলো আলমগীর হোসেন এবং সেকেন্ড ইন্ড কমান হলো শহিদুল ইসলাম মুহিত।


রাজীবের হেফাজতে থাকা ১০টি মোবাইল সেট, মহিলা যাত্রীদের ৫ জোড়া চুরি, ৩টি ব্যাগ, ৩টি জাতীয় পরিচয়পত্র, ১টি এটিএম কার্ড, বাসের টিকেট এবং ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত ২টি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।


বিবরণে জানা যায়, গত (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ইউনিক রয়েল আমরি ট্রাভেলস নামক বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের ওপর যৌন নিপীড়নের ঘটনাটি ঘটে। বাসটি ঢাকা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিল।


বাসের যাত্রীদের ভাষ্যমতে, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছাড়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ডাকাতি ও দুই নারীর শ্লীলতাহানির করে ডাকাতদল।


গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার পর যাত্রীরা বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে থানা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে।


এ সময় ডাকাতিতে জড়িত সন্দেহে বাসের চালক বাবলু আলী (৩১), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩২) ও হেলপার মাহবুব আলমকে (২৭) আটক করে ৫৪ ধারায় নাটোর আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ।


পরে তারা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। ঘটনার ৩ দিন পর শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় ওমর আলী নামে এক যাত্রী মামলা করেন।