বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৩, ২০২৫
logo

চরাঞ্চলের নারীদের স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন বিতরণ: ফারুক ই আজমের আহ্বান "প্রত্যেকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠুন"


জাহিদ খান, কুড়িগ্রাম প্রকাশিত:  ১২ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম

চরাঞ্চলের নারীদের স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন বিতরণ: ফারুক ই আজমের আহ্বান "প্রত্যেকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠুন"

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চরাঞ্চলের নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১২ মার্চ ২০২৫, বুধবার বিকেল ৩:৩০ মিনিটে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা, বীর প্রতীক জনাব ফারুক ই আজম। তিনি বলেন, "চরাঞ্চলের নারীদের স্বাবলম্বী হতে হলে প্রত্যেক নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। সেলাই মেশিনের মাধ্যমে তারা নিজে আয় করতে পারবে এবং পরিবারেও আর্থিক সহায়তা দিতে পারবে।"


বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; জনাব বেজওয়ানুর রহমান, মহাপরিচালক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর; এবং জনাব মোঃ মাহফুজুর রহমান, পুলিশ সুপার, কুড়িগ্রাম।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে নারীদের ভূমিকা অপরিসীম। দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সরকার নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সেলাই মেশিন বিতরণ কর্মসূচি সেই উদ্যোগেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।"


অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক জনাব নুসরাত সুলতানা। তিনি বলেন, "নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুললে সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। আমরা চাই, চরাঞ্চলের নারীরা শুধু গৃহিণী নয়, উদ্যোক্তা হিসেবেও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করুক।"


অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান। অনুষ্ঠান শেষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়। মেশিন পেয়ে নারীরা আনন্দ প্রকাশ করেন এবং নিজেদের স্বাবলম্বী করার স্বপ্ন ও নতুন করে জীবন গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।


স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে, যাতে চরাঞ্চলের নারীরা আরও বেশি করে স্বাবলম্বী হয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন।