শুক্রবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫
logo

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলছে বাংলাদেশ


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত:  ১২ মার্চ, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলছে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। দেশটির ক্রেতারা চলতি পঞ্জিকা বছরের জানুয়ারিতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৬ শতাংশ তৈরি পোশাক আমদানি বাড়িয়েছে। ওই মাসে বাজারটিতে মোট ৮০ কোটি ডলার সমমূল্যের পোশাক রপ্তানি করেন দেশের উদ্যোক্তারা। 


এ রপ্তানি গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধির এ হার চীন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ভারতসহ শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।


যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনসহ কয়েকটি দেশ থেকে পণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ এমন প্রবৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। তাঁরা বলছেন, গ্যাস-বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করে দেশে উৎপাদনের জন্য ভালো পরিবেশ তৈরি করতে পারলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক দেশ হয়ে উঠতে পারবে বাংলাদেশ।


ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকেরা ৭২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে তারা আমদানি করেছিল ৬০৩ কোটি ডলারের পোশাক। অর্থাৎ চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক আমদানি বেড়েছে সাড়ে ১৯ শতাংশ। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি পোশাক আমদানি করে চীন থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। আর বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।


একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। এ বাজারে গত বছর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ। ২০২৪ সাল শেষে বড় প্রবৃদ্ধি না হলেও ইতিবাচক ধারায় ফেরে। সব মিলিয়ে গত বছর বাংলাদেশ থেকে ৭৩৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি ২০২৩ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। যেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে ৭২৯ কোটি ডলারে নেমেছিল।