কামরুজ্জামান সোয়েব প্রকাশিত: ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:০৩ এএম

মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য — একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না, ও বন্ধু? জনপ্রিয় গায়ক ভূপেন হাজারিকার গানের মতো মানুষের কাছে সহযোগিতা চেয়ে তাকিয়ে আছে কিশোর কামরুল (১৬)।
কামরুলের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়নের বসুবাড়ি গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত হিরা মিয়া।
প্রায় ৪ বছর আগে বাবাকে হারিয়ে এতিম হয়ে সংসারের হাল ধরে এই কিশোর। যে বয়সে তার স্কুলে যাবার কথা, তখন সে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে হাতে তুলে নিয়েছে অটোভ্যান। হালকা-পাতলা গড়নের শরীর নিয়ে কোনো রকমে আয়-রোজগার করে ডাল-ভাত জোগাড় করতো তাদের সংসারে। মা কমলা খাতুন (৪৫) আর ছোট ভাই হাসান (১১) কে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিল কামরুল।
কিন্তু বিধির কী নির্মম পরিহাস! এর মধ্যেই কামরুলের শরীরে বাসা বেঁধেছে এক কঠিন রোগ। হঠাৎ করেই তার পা ফুলে গেছে। এখন সে বাড়িতে শয্যাশায়ী। রোগ শনাক্ত কিংবা ওষুধ কেনার মতো সামর্থ্য নেই তাদের।
কিশোর কামরুলের মা কমলা খাতুন ছেলের এই অবস্থায় দিশেহারা। সংসারের হাল ধরতে এখন একমাত্র ছোট ভাই হাসান শহরের একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করছে।
আশপাশের লোকজন ভেবেছিল কামরুল আর বাঁচবে না। কিন্তু "রাখে আল্লাহ মারে কে?" — মানুষের সহযোগিতায় কমলা খাতুন ছেলেকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা তো দূরের কথা, ছেলের মুখে তিনবেলা খাবার তুলে দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। নিয়মিত ওষুধ না খেলে কামরুলের পা ফুলে যায়, রক্ত পড়তে শুরু করে। তখন অসহ্য যন্ত্রণায় চিৎকার করে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে।
কামরুলের কান্না শুনে প্রতিবেশীদের মনও কেঁদে ওঠে বলে জানালেন স্থানীয় কবি ও সংবাদকর্মী সালাম চান তরফদার।
সরেজমিনে আজ বুধবার সকালে কামরুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়— ঘরের বাইরে একটি টুলে বসে দীর্ঘশ্বাস নিচ্ছে, পাশে মা কমলা খাতুন ছেলের শরীরে হাত বুলিয়ে আল্লাহকে ডাকছেন।
‘আজকের বাংলা’ প্রতিনিধি পরিচয় পেয়ে কামরুল বলেন, “আমার জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন আমাকে সুস্থ করে দেন। লোকজনকে বলবেন আমাকে সাহায্য করতে। আমি সুস্থ হয়ে আবারও সংসারের খরচের টাকা রোজগার করতে চাই।”
একমাত্র ছেলে কামরুলকে বাঁচাতে এবং পরিবারে দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে ‘আমার দেশের’ মাধ্যমে সমাজের বিত্তবান ও মানবিক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মা কমলা খাতুন।
সাহায্য পাঠানোর মোবাইল নম্বর (নগদ): ০১৭২৫৬০৬৮০৬ (কামরুল)