শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫
logo
সিনিয়র সাংবাদিক ও বিভিন্ন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ভুয়া হারবাল পণ্যের রমরমা বানিজ্য

বিজ্ঞাপনকারীদের আইনি নোটিশ দিলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রতিষ্ঠানের মূলহোতা


_আবদুল্লাহ আল নোমান শুভঃ প্রকাশিত:  ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম

বিজ্ঞাপনকারীদের আইনি নোটিশ দিলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রতিষ্ঠানের মূলহোতা

অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক ও টিকটক জুড়ে ভুয়া প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং ক্রমশ বেড়ে চলায় জনজীবন পড়েছে হুমকির মুখে। অনলাইন মাধ্যমে সেলিব্রেটিদের দিয়ে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন তৈরি করে ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়িয়ে আয়ুর্বেদিক ও হারবাল ওষুধের কথা বলে সাধারন মানুষদের প্রতারণার স্বীকার করছে বেশ কয়েকটি চক্র।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুক এবং ইন্টারনেট যেহেতু পাবলিক পরিসর সেহেতু এসব মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও এবং পর্নোগ্রাফিক ছবি প্রচার একটি গণ উপদ্রপ, যা দণ্ডবিধির ২৬৮ ধারা অনুযায়ী অপরাধ। ২৯২, ২৯৩ ও ২৯৪ ধারা অনুযায়ী কোনো ধরনের অশ্লীল ভিডিও বা ছবি তৈরি, প্রচার এবং প্রকাশ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮ অনুযায়ী রাষ্ট্র জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ। ২০০১ সালের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৯ এবং ৩০ ধারায় একটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, এসব কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনের প্রয়োগ না করায় ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা অশ্লীলতা, ক্ষতিকর এবং বেআইনি অপরাধমূলক উপাদানে ভরপুর। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

নোটিশে অবিলম্বে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে জানানো হয়েছে।

 

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির, ডাক্তার তাসনিম জারাসহ অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পরামর্শের আড়ালে ভিডিও বক্তব্য এবং ছবির মাধ্যমে যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি করে থাকেন। ওই সব ছবি এবং ভিডিও সমাজে ব্যাপকভাবে অশ্লীলতা ছড়িয়ে সামাজিক এবং পারিবারিক মূল্যবোধকে বিনষ্ট করছে। 

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকের, টিকটক ও ইউটিউবে চটকদার বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্ত হয়ে নকল ও ভেজাল পণ্য সেবনে অসংখ্য মানুষ শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এক রোগ সারাতে গিয়ে তারা আরও নতুন ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। 

 

বেশ কিছুদিন ধরে দৈনিক আজকের বাংলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকের বেশ কয়েকটি পেজ অনুসরণ করে ভেষজ ওষুধসহ জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদনহীন পণ্য বিক্রির সত্যতা মিলেছে। ওষুধজাতীয় এসব পণ্য মার্কেটিং করার পন্থাও বের করেছে তারা। একেকজন পণ্যটি সেবনের পর শরীরের পরিবর্তন দেখিয়ে ও বিশেষজ্ঞ অথবা সেলিব্রেটিদের মাধ্যমে পেজে এসে পরামর্শ দিচ্ছেন। বিভিন্ন গবেষণার বরাত দিয়ে বিশ্বাসযোগ্য করে উপস্থাপন করছেন।

 

এ বিষয়ে জিএমআইটির কর্ণধার কামরুল কায়েস চৌধুরীর মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।