রমজান আলী, কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০৮:১১ পিএম
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ছোট ফেনী নদীর উপর নির্মিত ২৩ ভেল্ট রেগুলেটর মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের সময় উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি এবং অতিরিক্ত বৃষ্টি কারণে রেগুলেটরটি সম্পূর্ণ ভেঙে নদীতে মিশে যায়। এ ২৩ ভেল্ট রেগুলেটরের দৈর্ঘ্য ৮৫ মিটার, প্রতি সেকেন্ডে পানি নিষ্কাশন হয় ৭৫৮ ঘনমিটার। রেগুলেটির কার্যক্রম ২০০৯ সালে আরম্ভ হয়। বর্তমান ড্রাইভেশন চ্যানেলের প্রস্থ ২৫০ মিটার।
কোম্পানীগঞ্জে ছোট ফেনী নদীর উপর আরেকটি রেগুলেটর ৪০ ভেল্টে তৈরি করতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। রেগুলেটর তলিয়ে যাওয়ার ফলে একদিকে জোয়ারের লবণাক্ত পানি ঢুকার কারণে নদী পার্শ্ববর্তী কয়েক কিলোমিটার এলাকার চাষাবাদ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। কৃষকরা হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ভাঙনের ফলে নদীর ডান তীরবর্তী সংলগ্ন এলাকা জনতা বাজার, চরহাজারী, চরপার্বতী, মুছাপুর, চরফকিরা ও চরএলাহী ইউনিয়নের শত শত ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, সরকারি স্কুল,মসজিদ, মাদ্রাসা, কিল্লা, মৎস্য খামার ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। অতি অল্পসময়ের মধ্যে এই রেগুলেটর নির্মাণ করা না হলে আগামী দুই বছরের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণ অঞ্চলের বিশাল এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হবে এবং মানচিত্র থেকে কোম্পানীগঞ্জ ছোট হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীর পাড়ের মানুষ অতিকষ্ট করে বাড়িঘর নির্মাণ করেছিল। রেগুলেটর তলিয়ে যাওয়ার কারণে শত শত পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। অনেকে বৃদ্ধ মা, বাবা, সন্তান নিয়ে রাস্তার পার্শ্বে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে।
নোয়াখালী জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম ছালেহী এ প্রতিবেদককে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত রেগুলেটর এলাকায় মাননীয় উপদেষ্টা ও সচিব মহোদয়সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জনগণের কথা বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। বিশ্ব ব্যাংক, জাইকাসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং দাতা সংস্থার কাছে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি জেলা প্রশাসক, নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ছাত্র প্রতিনিধিসহ দায়িত্বশীল সকলের সাথে এ প্রকল্প নিয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।