বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫
logo

সাংবাদিকদের চোখে সারা বিশ্ব দেখে- শেরপুর বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী


শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত:  ৩০ নভেম্বর, ২০২৪, ০৩:১১ পিএম

সাংবাদিকদের চোখে সারা বিশ্ব দেখে- শেরপুর বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী



সাংবাদিকদের চোখকে ফাঁকি দেওয়া খুবই কঠিন। তাদের চৌকস একটা চোখ। আর সাংবাদিকদের চোখে সারাবিশ্ব দেখে। সাংবাদিকদের হাতের কলমে সারাবিশ্ব চলে। একটা জাতি চলে। সাংবাদিকরা একজনকে ওঠাতেও পারে। আবার একজনকে নামাতেও পারে- এ কথা বলেছেন শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মোঃ হযরত আলী।

২৯ নভেম্বর রাত ৯ টায় শেরপুর শহরের সিংপাড়া মহল্লায় তার নিজস্ব অফিসে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন। এসময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আওয়াল চৌধুরীসহ বিএনপির অন্যান্য অঙ্গসংগঠক ও প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, আমি যদি খারাপ হয় সাংবাদিক আমার খারাপ টায় লিখবে। আর ভালো হলে ভালো টায় লিখবে। আমি সকল সাংবাদিকদের হাত জোড় করি এক কাতারে ও এক ব্যানারে দেখতে চাই। আর সকল জাতীয়তাবাদীদের নিয়ে এক ব্যানারে এক কাতারে চলতে চাই। সাংবাদিকরা আপনারা আমাদেরকে একটু সহযোগিতা করবেন। তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। কারণ আপনাদের কাছে সকল তথ্য থাকে। তাহলে আমাদের কাজ করতেও সহজ হবে।

হযরত আলী আরও বলেন, আপনারাই দেখছেন শেরপুরে কি অবস্থায় আছে। আমরা এটা চাচ্ছি না। এভাবে দেখতে চাচ্ছি না। ৫ তারিখে যে স্বাধীনতা হইছে তাতে শেরপুরে ১৩ জন শহীদ হইছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কমনা করি। এবং সাড়ে ৪ শ লোক আহত হয়েছে। তারেক জিয়ার আদেশে তাদের অনেকের চিকিৎসা চলছে। এবং অনেকে সুস্থও হয়েছে। অনেকে হাটতে পারতো না এখন হাটতে পারছে। অনেকে চোখে হারিয়েছিলো। তারাও এখন দেখছে। আমাদের পক্ষ থেকে আহত সকলের চিকিৎসার ব্যবস্থা হচ্ছে।

আলহাজ্ব মোঃ হযরত আলী জানান, শেরপুরে আওয়ামীলীগের সরকার অনেক কাজ করে নাই। খালি টাকা লুটপাট করে খাইছে। একটা কাজ হলে তার টাকা আগেই ভাগাভাগি করে খেয়ে ফেলতো। সারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলার জন্য ১২ শ কোটি টাকার একটা করে ফান্ড ছিলো। যার মধ্যে ৬৩ জেলায় ১২ শ কোটির করে একটা প্রকল্পের কাজ হয়েছে। কিন্তু শুধু শেরপুরেই এ প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ হয়নি। তা আমি জানার পর থেকেই করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশাকরি সামনের বছরে প্রথম দিকের এ কাজ শুরু হবে। এ কাজ হলে শেরপুরের উন্নয়ন কাজ হবে।