বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর, ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
শান্ত জামালপুরকে অশান্ত করতে একটি মহল জামালপুরে হাসপাতাল ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতা ও স্থানীয় লোকজন। বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর রাতে জামালপুর শহরের সরদারপাড়া এলাকায় এম এ রশিদ হাসপাতালে ও পরে স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে দূর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষ ও যন্ত্রপাতি ভাংচুর করে। এসময় হাসপাতালের গার্ড ও অন্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে কর্মচারীদের মারপিট করে। এসময় চারজন আহত হয়।
হামলার সনয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে সবাইকে ভীতি প্রদর্শন করে বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক। এদিকে হাসপাতালে হামলার পর দূর্বৃত্তরা শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে যায়। এ সময় বন্ধ থাকা দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় তারা। এ ছড়া অস্ত্র প্রদর্শন ও বিএনপি নেতাদের নাম ধরে গালিগালাজ করে।
এ বিষয়ে এম এ রশিদ হাসপাতালের পরিচালক (অপারেশন) ডা. মিজানুর রহমান জানান, গত রাতে দুর্বৃত্তরা একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে আগ্নেয়াস্ত্রসহ হাসপাতালে ঢুকে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও কর্মীদের মারধর করে। এ সময় হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষ, অভ্যর্থনা ডেস্ক, বিভিন্ন কাউন্টার, ফার্মেসি, জরুরি বিভাগ, সিটি স্ক্যান, এক্সরেসহ বিভিন্ন কক্ষ ভাংচুর করা হয়।
হামলার খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা এম এ রশিদ হাসপাতালে কোনো কারণ ছাড়াই হামলা ও ভাংচুর করেছে। এখান থেকে যাওয়ার সময় এরা জেলা বিএনপির বন্ধ কার্যালয়ে হামলা এবং অস্ত্র প্রদর্শন ও বিএনপির নেতাদের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।’
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান বিএনপির এই নেতা। তিনি আরও বলেন, ‘হামলাকারীরা যদি বিএনপি নামধারী হয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে বিএনপি চুপ করে বসে থাকবে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। তারা যদি বিএনপিরও কেউ হয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় জামালপুরের স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পথচারি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা জামালপুরের শান্তি চাই। হৃদয় মিয়া বলেন, অশান্তি সৃষ্টির জন্য জনগন আওয়ামীলীগকে বয়কট করেছে। আমরা দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই আর নিজের ভোট নিজে দিতে চাই।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মো. আতিক জানান, এই ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি।