বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৪
logo

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকট


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ৩০ নভেম্বর, ২০২৪, ০৭:১১ পিএম

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকট

ওষুধ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীর সংকট দেখা দিয়েছে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। এতে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

হাসপাতালটিতে ৬১ ধরনের ওষুধের মধ্যে বর্তমানে ২৬ ধরনের ওষুধের কোনো সরবরাহ নেই। সেই সঙ্গে ফিল্ম সংকটের কারণে বিগত এক মাস ধরে বন্ধ ডিজিটাল এক্স-রে। হাসপাতালের বাইরে থেকে অতিপ্রয়োজনীয় এ পরীক্ষা করাতে গিয়ে রোগীদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বহির্বিভাগে বেশিরভাগ রোগীই তাদের চাহিদা মতো ওষুধ পাচ্ছেন না। বিশেষ করে ঠান্ডাজনিত ও হার্টের রোগীর ওষুধ সরবরাহ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

বহির্বিভাগে ওষুধ নিতে আসা আসমা আক্তার  বাসসকে বলেন, চিকিৎসক তিন ধরনের ওষুধ লিখেছেন। কিন্তু এখানে কোনোটাই পাইনি। এখন বাইরে থেকে কিনতে হবে। আবাসিক রোগীদের স্যালাইন থেকে শুরু করে বেশিরভাগ ওষুধই বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। ওষুধ বিতরণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, আবহাওয়া পরিবর্তন ও রাস্তাঘাটে ধুলাবালির কারণে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এ ওষুধের সরবরাহ সবচেয়ে কম। বিশেষ করে চাহিদা থাকার পর মন্টিকিউলাস গ্রুপের ওষুধের কোনো সরবরাহ নেই হাসপাতালে।

হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার সরকার বাসসকে বলেন, এ বছর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে কুষ্টিয়া জেলায় রেকর্ড পরিমাণ শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ দুই মাস হাসপাতালটিতে ২০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন প্রায় ৩০০-৪০০ শিশু ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থেকেছে। এসময় প্রচুর ঠান্ডাজনিত রোগের ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

এদিকে হাসপাতালের নিচতলায় এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাফি রুমে প্রবেশ করতেই একটি নোটিশ চোখে পড়ছে। তাতে লেখা, ডিজিটাল এক্স-রে আপাতত বন্ধ।

সেখানে দায়িত্বরত কম্পিউটার অপারেটর কৃষ্ণ কুমার জানান, ফিল্মের অভাবে মাসখানেক ধরে ডিজিটাল এক্স-রে বন্ধ। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কেউ আসে বলে মনে হলো না। অথচ ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।

এ বিষয়ে তাপস কুমার সরকার বলেন, কুষ্টিয়াসহ আশপাশের চারটি জেলার প্রায় এক হাজার মানুষ প্রতিদিন চিকিৎসাসেবার জন্য এখানে ভিড় জমান। অথচ আমরা বরাদ্দ পাই ২৫০ শয্যা হাসপাতালের। এজন্য ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সংকটে পড়তে হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে ফিল্ম চলে এলে ডিজিটাল এক্স-রে শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এ কর্মকর্তা। তবে কবে ওষুধের সংকট কাটবে এ বিষয়ে তেমন কোনো আশার সংবাদ তিনি দিতে পারেননি।