বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৪
logo

ফরিদপুর বিএনপির কর্মী হিরু শেখকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার মিন্টু চেয়ারম্যান


ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত:  ০১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:১২ পিএম

ফরিদপুর বিএনপির কর্মী হিরু শেখকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার মিন্টু চেয়ারম্যান


 

 

: গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ:

ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ওরফে মিন্টুকে (৪৫) । তিনি জেলার ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনের ঘনিষ্ঠজন হিসাবে এলাকায় ব্যপক তান্ডব চালাতেন ।

: গত শনিবার (৩০ নভেম্বর) :

বিকেল ৫টার দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের তালমার মোড় এলাকা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী একটি বাস থামিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেহেদী ওরফে মিন্টু ডিক্রিরচর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি কায়েম করেছিলেন রাজত্ব। এছাড়া পদ্মা নদী থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলার দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

: ঘটনার সত্যতা:

নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে। তাকে হত্যা মামলায় আপাতত গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

: হত্যার ঘটনা ঘটে:

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হত্যা মামলার বাদী ডিক্রিরচর ইউনিয়নের আয়জদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা রুমন শেখ। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিঅ্যান্ডবি ঘাট টোল প্লাজার সামনে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের পক্ষে পোস্টার সাঁটানোর সময় আয়জদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা হিরু শেখকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মেহেদী হাসান ওরফে মিন্টুকে আসামি করে সম্প্রতি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুবাদে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত হিরুর ছেলে রুমন শেখ। এরপর নেমে আসে ছেলে রুমনের উপর নির্যাতন। অন্যদিকে শহরের কমলাপুর মহল্লার বাসিন্দা আজাদ শেখ বাদী হয়ে মেহেদীকে আসামি করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কবির আহমেদ বলেন, মেহেদী হাসানকে রোববার (১ ডিসেম্বর) আদালতে সোপর্দ করা হবে। তাকে পুলিশের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হবে।