বাধা ছোট্ট একটি বেইলি ব্রীজ।
জাহিদ খান(কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি) প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী ধরলা সেতুটির নির্মান কাজ শেষ করে জনগণের জন্য উম্মুক্ত করা হয়েছিলো ২০১৮ সালের ৩ জুন।উদ্বোধনের ৬ বছর পূর্ন হওয়ার পর ও এর কাঙ্ক্ষিত সুফল ভোগ করতে পারছে না উত্তর ধরলার প্রায় ১৫ লক্ষ জনগোষ্ঠী। এর এক মাত্র কারণ রত্নাই নদীর উপর নির্মিত বেইলি ব্রীজটি।
উল্লেখ্য - ধরলা সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র অধীন ২০৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যায়ে ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯.৮ সেতুটি নির্মান করা হয়।
ফুলবাড়ী উপজেলার মধ্য দিয়ে উত্তর ধরলার জনপদের নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় কমেছে দেশের বিভিন্ন জেলার সাথে উত্তর ধরলার যাতায়াতের সময় ও পথের দূরত্ব। ছোট ছোট যানবাহন এই ব্রীজ দিয়ে লালমনিরহাট এর উপর দিয়ে সারা দেশে যাতায়াত করতে পারলেও বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস, মালবাহী বড় ট্রাক,ট্যাংক লড়ী সহ ভারী যানবাহন। এর এক মাত্র কারণ ধরলা সেতুর পশ্চিম প্রান্তের অদূরেই নির্মিত রত্নাই বেইলি ব্রীজ। এই বেইলি ব্রীজ টি পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পূর্ণ সুফল মিলছে না।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে উত্তর ধরলার নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী,ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় যোগাযোগ দূরত্ব কমিয়েছে এই ব্রীজ টি।এতে করে অনেক উদ্যোক্তা এই অঞ্চলে কল কারাখান স্থাপনে উৎসাহিত হলেও ভারী যান বাহন চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় তারা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।ফলে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া উত্তর ধরলা পিছিয়েই থাকছে।কৃষিতে সম্ভাবনা থাকলেও কৃষক ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ছোট্ট একটি ব্রীজ না থাকার কারনে।ফলে বহুল প্রতীক্ষার ও স্বপ্নের ২০৬ কোটির ব্রীজের কাঙ্খিত লক্ষ্য মাত্রা অধরাই রয়ে গেছে।
ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুল মোমেন জানান,রত্নাই নদীর উপর বেইলী ব্রিজটির পাশে ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রত্নাই নদীর ওপর ১৩০ মিটার দৈর্ঘ্যে ও ১০ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থের নতুন আর একটি সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালের ১৮ জানুয়ারী সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা।সেতুটির উভয় পার্শ্বে সংযোগ সড়কের জমি অধিগ্রহন করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ।কাজটি বাস্তবায়ন করছে কংক্রিট এন্ড স্টীল টেকনোলোজি নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান
নির্মিতব্য ব্রীজটি সরেজমিনে,সেতুটির ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।কাজের এই গতি থাকলে আগামী ২০৩০ সালেও ব্রীজের কাজ সমাপ্ত করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন এলাকার সুধীমহল। ফুলবাড়ী উপজেলার সচেতন মহল জানান,যথাযথ কতৃপক্ষ কোনো এক অজানা কারনে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কে কাজের নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দিচ্ছে না।এই ব্রীজ নির্মাণ যত দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হবে উত্তর ধরলার জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ততোটাই পিছিয়ে পড়বে।
তারা যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট আবেদন জানান যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে মানুষের দূর্দশা ঘোচাতে কার্যকর ভূমিকা গ্রহনের।