মেরাজ উদ্দিন দোহার প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
শুষ্ক মৌসুম শুরুতেই ঢাকার দোহার ও ফরিদপুরে চরভদ্রাশন উপজেলার গোপালপুরের পদ্মা নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এতে হুমকিতে ও অচল হওয়ার পথে দোহারের মৈনটঘাট থেকে ফরিদপুরের চরভদ্রশনের গোপালপুর নৌ-পথ। নদীর মাঝে জেগে ওঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য ডুবোচর। এ কারণে পণ্যবাহী জাহাজ, কার্গো, লঞ্চ ও বড় ট্রলার এমনকি স্প্রিডবোর্ড চলাচল মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দোহারের মৈনটঘাট হয়ে পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও ফরিদপুরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট নৌবন্দরে যেতে খানিকটা বেগ পেতে হচ্ছে পণ্যবাহী জাহাজের।
জাহাজ চলাচলে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ ফুট গভীরতা প্রয়োজন হলেও বর্তমানে এ নদীতে কোথাও গভীরতা রয়েছে মাত্র ৫ থেকে ৬ ফুট। ফলে ডুবোচরের কারনে মালামাল নিয়ে যেতে পারছেনা মাঝারি কিংবা বড় জাহাজগুলো। ঠিকমত নৌযান চলাচল করতে না পারার কারনে পণ্য খালাস করতে অতিরিক্ত মাশুল গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ী অন্যদের।
প্রতিদিনই দোহারে মৈনটঘাট হয়ে ফরিদুপুর গোপালপুর ঘাট দিয়ে ফরিদপুর সহ আশেপাশে জেলাগুলোর হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের জন্য এ নদী পথটি ব্যবহার করেন।
আবার ফরিদপুর, রাজবাড়িসহ দক্ষিণাঞ্চলের কিছু মানুষও ঢাকা যেতে বিকল্প পথ হিসেবে এ নদী পথটি ব্যবহার করেন। শুষ্ক মওসুমের শুরুতেই নদীর নাব্যতার কারনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব লোকজন নৌযানগুলোকে। অনেক পথ ঘুরে আসতে সময় ব্যয় হচ্ছে অনেক।শনিবার সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায় মৈনটঘাট থেকে প্রতিদিন নয়টি লঞ্জ ফরিদপুরের গোপালপুর আসা যাওয়া করলেও এখন চলাচল করছে মাত্র ৩ টা। এতে হুমকির মুখে এ ব্যবসা।
নদীর ড্রেজিং কার্যক্রম ধীরগতিতে হচ্ছ বলে অভিযোগ তুলেন নৌযান চালকরা। তারা দ্রুত নদী পথটি সংস্কারের দাবি জানান।এ বিষয়ে গোপালপুর ঘাটের টিকিট কাউন্টারে থাকা
সোহেল রানা জানান, আমাদের এ ঘাটে আগে যেখানে যাত্রী ছিল প্রতিদিন গড়ে হাজার খানিক। বর্তমানে চার থেকে পাঁচশত যাত্রী পাই। এতে মারাত্বক খতির মুখে আমরা। এদিকে যাত্রী সফিকুল ইসলাম জানান, আমরা আগে অল্প সময়েই এই নৌরুটে আসাযাওয়া করতে পারতাম। এখন অনেক সময় লাগে। তাই আমরা বিকল্প পথে যাতায়াত করছি। লঞ্চ চালক সোহেল মিয়া বলেন, নদীতে পানি কমে গেছে। তাই আমরা লঞ্চ ঠিকভাবে চালাতে পারছিনা। এতে করে এ পথে যাত্রী কমে গেছে। ফলে ব্যবসায় ধস নেমেছে।
মৈনটঘাট লঞ্চ ও স্প্রিডবোর্ট ইজারাদার বাশার মুন্সি বলেন, পদ্মা নদী নাব্যতার কারনে আার্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি আমরা সহ লঞ্চ ও স্প্রিডবোর্ড ব্যবসায়ীরা । ডুবোচরের কারনে এ পথের যাত্রী কমে গেছে বলে। দ্রুত নৌপথটি স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন আশা করি। বিআইডব্লিটিএ, নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের কারিগরী সহকারী, ড্রেজিং সেক্টর আব্দুর রব সরদার সাংবাদিকদের বলেন, খনন কাজ চলমান আছে। দ্রুত নদীর খনন কাজ শেষ করতে পারলে দুর্ভোগ কমবে। আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি