শরিফুল ইসলাম, ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
ফরিদপুর সদর উপজেলায় মামলার আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে হামলার স্বীকার হন কোতয়ালী থানার তিন পুলিশ সদস্য। এ হামলার বেশ আহত হন। গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ভাটি কানাইপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভাটি কানাইপুর এলাকার চার ভাই কামরুল, জসিম, আনো ও বাদশার নামে কোতোয়ালি থানায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার অভিযোগসহ একাধিক মামলা ছিল। গত ২৩ অক্টোবর চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন ওই গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান সিকদার গতকাল সন্ধ্যায় আসামিদের ধরতে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি যান। পুলিশ আসামি কামরুলকে আটক করে। তখন আনো, জসিম, বাদশাসহ বেশ কয়েকজন পুলিশের কাছ থেকে কামরুলকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁরা পুলিশের ওপর লোহার পাইপ, ছুরি, টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। পুলিশের তিন সদস্যকে বেদমভাবে মারধর করে কামরুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
হামলায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন কোতোয়ালি থানার এস আই হাসান সিকদার, কনস্টেবল সাগর চন্দ্র সরকার ও মো. মাহমুদুল হাসান। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহত তিন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসেন। তাঁরা ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
এস আই হাসান সিকদার বলেন, ‘বেশ কয়েকটি মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং আসামি কামরুলকে ছিনিয়ে নেয়। তারা আমাকেসহ দুই কনস্টেবলকে আহত করেছে।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান বলেন, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে গতকাল রাতে থানায় একটা মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।