বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫
logo

নীলফামারীতে পিটিআই ইনস্ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানোর অভিযোগ


ইমরান খান, নিলফামারী প্রকাশিত:  ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:১২ পিএম

নীলফামারীতে পিটিআই ইনস্ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানোর অভিযোগ


শিক্ষক হয়রানি, হেনস্থা, ফেল করানোর ভীতিপ্রদর্শন ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর (শারীরিক শিক্ষা) শামসুল হকের অপসারণের দাবিতে নীলফামারিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন প্রশিক্ষনার্থী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গত ২ ডিসেম্বর পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন প্রশিক্ষনার্থী শিক্ষকরা। পরে পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট ইকবাল রাজ্জাক সিদ্দিকী এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছির আশ্বাসের পরে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে দাড়ান প্রশিক্ষনার্থী শিক্ষকরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে অবস্থানকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, প্রতিনিয়ত পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর (শারীরিক শিক্ষা) শামসুল হক পশিক্ষনার্থী শিক্ষকদের ফেল করানোর ভিতি প্রদর্শন, নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তাসহ অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছেন। তাছাড়াও শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে মানসিকভাবে হেনস্তা করেন। তার বিরুদ্ধে কেও কথা বললেই ফেল করানোর ভয় দেখান। এভাবেই শুরু থেকে তিনি আমাদের হয়রানি করছেন। আমরা তার দ্রুত বিচার এবং অপসারণ চাই। 

অবস্থান কর্মসূচি শেষে পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট ইকবাল রাজ্জাক সিদ্দিকী বরাবর একটি আবেদন জানান প্রশিক্ষনার্থী শিক্ষকরা। ৮৫ জন প্রশিক্ষনার্থী শিক্ষকের স্বাক্ষর সংবলিত আবেদন পত্রে ইনস্ট্রাক্টর (শারীরিক শিক্ষা) শামসুল হককে অপসারণের দাবি করা হয়। 

প্রশিক্ষনার্থী শিক্ষক মাহিদুল বলেন, আমরা যখন থেকেও ভর্তি হয়েছি তখন থেকেই তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করতেন। শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানি করতেন।  ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে রুমে ঢেকে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন কথা বলতেন। র্উধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আমরা অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমরা আবারো অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। 


এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে, পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর (শারীরিক শিক্ষা) শামসুল হক বলেন, আমি তাদের ভালো করার চেষ্টা করতাম।  ক্লাস এটেন্ডেন্স করাকরি করতাম। সঠিক সময়ে এটেন্ডেন্স নিতে চাইতাম।  তাই তাদের মধ্যে একজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। ফেল করানোর ভয় দেখানো এবং নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেন এই ইনস্ট্রাক্টর।

পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট ইকবাল রাজ্জাক সিদ্দিকীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শোনার পর আমি মিটিং আছি বলে ফোন কেটে দেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, তাকে বদলি করার জন্য আমরা অধিদপ্তরে রিপোর্ট দিয়েছি। কয়েকদিনের মধ্যেই সে বদলি হয়ে যাবে।