শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
logo

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্প নির্মাণ বন্ধের দাবি পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:১২ পিএম

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্প নির্মাণ বন্ধের দাবি পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে জিইসি র‌্যাম্প নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়েছে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম নামের একটি সংগঠন।

বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি মেগাপ্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে অন্যতম লালখানবাজার-পতেঙ্গা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। শুরু থেকেই বিতর্কিত এই প্রকল্পটি বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্টজনদের মতামত এবং জনস্বার্থ উপেক্ষা করে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর স্বার্থ বাস্তবায়নে এই মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল' বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়া।

শনিবার (৭নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান এলাকায় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়া এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্প স্থাপন নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। সবশেষে বিতর্কিত বেশ কয়েকটি র‍্যাম্প প্রকল্প থেকে সাময়িক বাদ দেওয়া হলেও বাওয়া স্কুল ও জিইসি জাংশানের মাঝে হোটেল পেনিনসুলার সামনে থেকে প্রস্তাবিত র‍্যাম্পটি বাদ দেওয়া হয়নি। অপরিকল্পিত ও ব্যক্তিস্বার্থে গৃহিত এই র‍্যাম্পের বিরুদ্ধে সচেতন নাগরিক সমাজ থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকগণ প্রতিবাদ করার পরও এর নির্মাণকাজ বন্ধ করা হয়নি বরং অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত গতিতে নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন,  বর্তমানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন জায়গায় র‍্যাম্প নামাচ্ছে ও উঠাচ্ছে। যে সকল জায়গায় র‍্যাম্প নামাচ্ছে বা উঠাচ্ছে সেখানে নিচের মূল সড়কের প্রশস্থতা কমে যাওয়ায় ভবিষ্যতে অগ্রাধিকার (প্রাইওরিটি) ভিত্তিক গণপরিবহন (বাস) সিস্টেম বা র‍্যাপিড বাস ট্রানজিট চালু করা কঠিন হয়ে যাবে। আর বন্দরের কন্টেইনার চলাচলেও প্রচণ্ড বাধা সৃষ্টি করবে, যা পণ্য পরিবহন গতিশীলতায় স্থবিরতা সৃষ্টি করতে পারে। নিচের মূল সড়কে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কার্যকর হবে না।

এ সভায় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সভাপতি প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান, প্রকৌশলী এবিএমএ বাসেত, স্থপতি আহমেদ জিন্নুর চৌধুরী, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, প্রফেসর ড. শফিক হায়দার চৌধুরী, প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম ও পরিবেশবিদ তসলিমা মুনা।