হাবিব জিহাদী,ময়মনসিংহ প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস( ১০ ডিসেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে সকালে নগরীর ছোটবাজার মুক্তমঞ্চে জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা-বেলুন উড়িয়ে র্যালির উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ।
মুক্তমঞ্চে জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহামিনুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখান থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জনতার বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হল প্রাঙ্গণে শেষ হয়। উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের এই দিনে প্রয়াত সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এবং ভারতীয় মিত্র বাহিনী ব্রহ্মপুত্র নদের শম্ভুগঞ্জ ফেরিঘাট পার হয়ে ময়মনসিংহ শহরের দিকে যাত্রা করে সার্কিট হাউস মাঠে পৌঁছে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহকে মুক্ত করে। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও মুক্তিযোদ্ধারা জানান, মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী সার্কিট হাউসের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় শত শত উল্লাসিত মানুষ, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভানুধ্যায়ী মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীকে স্বাগত জানায়। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে টাঙ্গাইল জেলা দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকায় পালিয়ে যায়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পাকিস্তানি বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই অঞ্চলে এটিই প্রথম ভয়াবহ যুদ্ধছিল বলে মুক্তিযোদ্ধারা জানায়। ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল পাকিস্তানি সৈন্যরা ময়মনসিংহ শহরে প্রবেশ করে। জেলার হালুয়াঘাট থানার চেয়ে হালুয়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা তাদের শক্ত দখল গড়ে তোলে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সীমান্ত এলাকায় বেশ কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা হালুয়াঘাট দখলদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করেন এবং ৮ ডিসেম্বর ফুলপুর ও ভালুকা, ফুলবাড়ীয়া, গৌরীপুর উপজেলা এবং ১০ ডিসেম্বর মুক্তাগাছা উপজেলাকে মুক্ত করেন।