আশরাফ আহমেদ,হোসেনপুর প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:১২ পিএম
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের জগদল-নুরমিয়ার দোকান বাজার সড়কের পাশে আতিরা ব্রীজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ব্রিজের দুই পাশে নেই কোনো রেলিং। বেশির ভাগ পিলারের পলেস্তারা ওঠে গেছে। বেরিয়ে গেছে রড, যে কোনো সময় ব্রীজটি ভেঙে পড়ে,ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। যান চলাচলের বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রীজটি দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করেন ৫টি গ্রামের হাজার হাজারেরও বেশি মানুষ এবং স্কুল কলেজ পড়ুয়া শতশত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ।তাই দ্রুত সময়ে ব্রিজটি পুনঃর্নিমাণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে হোসেনপুর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আল আমিন ভূইয়া জানান, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। মনে আতঙ্ক-ভয় আর ঝুঁকি নিয়েই ব্রীজের ওপর দিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন হাজারো মানুষ, অটোরিকশা সহ হালকা ও ভারি যানবাহন চলাচল করছে। ব্রীজটি যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে । এছাড়াও শামসুল আলম পারভেজ ও মোশাররফ জানান, অনেক কাঁচামাল ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা সাইকেলে করে ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভয়ে পারাপার হতে হচ্ছে । তাছাড়াও এই ব্রিজের উপর দিয়ে কোমলমতি ছেলে মেয়েদেরকে স্কুলে পাঠিয়ে অভিভাবকরাও থাকেন আতঙ্কে।তাই জনস্বার্থে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা অতি জরুরি ।
হোসেনপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি একেএম মোহাম্মদ আলী ও হোসেনপুর উপজেলা জনদুর্ভোগ নিরসনে নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম ফকির বলেন, আতিরার এই ব্রিজটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রিজ, তাই অনতিবিলম্বে এই ব্রিজটি নির্মাণ হলে ব্যবসায়ীরা সহ এলাকাবাসী যেমন লাভবান হবে, পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চলাচলের দুর্ভোগ কমে তারাও পাবে সুফল । এ বিষয়ে হোসেনপুর উপজেলা প্রকৌশলী গালিব মোর্শেদ জানান , ইতি:মধ্যে ব্রীজটি পুর্ণনির্মানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।