বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫
logo

তীব্র যানজটে শহরবাসী ও পর্যটকরা , যত্রতত্র পাকিং ভেঙ্গে পড়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থা


মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী , কক্সবাজার প্রকাশিত:  ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:১২ পিএম

তীব্র যানজটে শহরবাসী ও পর্যটকরা , যত্রতত্র পাকিং ভেঙ্গে পড়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থা

যানজটের শহরে পরিনত হয়েছে  পর্যটন নগরী কক্সবাজার। নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের কারণে ভেঙ্গে পড়েছে  কক্সবাজারের ট্রাফিক ব্যবস্থা। এখন বলতে গেলে  যানজটের শহরে পরিণত কক্সবাজার শহর । প্রায়ই প্রতিদিন  অর্ধেক সময় যানজটের কবলে পড়ে থাকে পুরো শহর। বিশেষ  করে কলাতলীতে সড়কের দু পাশে অবৈধ বাস পার্কিং এবং দূরদূরান্ত থেকে আগত পর্যটক বাহি  বাসগুলো সরাসরি শহরে প্রবেশের কারণে বেড়ে গেছে  যানজট। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েন পর্যটক ও স্থানীয়রা। এছাড়া দীর্ঘ যানজটে বসে থাকার কারণে পর্যটক ও স্থানীয় মানুষের ভোগান্তির পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে  চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময়।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে তীব্র যানজট লেগে যায় । এসময় শহরের বাসটার্মিনাল  থেকে কলাতলী ডলফিন মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয় । 
স্থানীয় বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর  বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল থেকে দীর্ঘ যানজট প্রায় সময় লেগেই থাকে। অফিস বা কাজে বের হলেও শহরে অনেক সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হয়। কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং এর  কারণে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও নানা অনিয়মের কারণে যানজট লেগে থাকে। এই যানজট থেকে শহরবাসী ও পর্যটকদের কে  উত্তরণের উপায় বের করা অত্যন্ত জরুরি।
কক্সবাজার কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ইসলাম মাহমুদ জানান , প্রতিদিন এ সড়কে তীব্র যানজট লেগেই থাকে। বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার যানজটের তীব্রতা বেড়ে যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে আটকা পড়ে নষ্ট হয় কর্মঘণ্টা।
বেসরকারি চাকরিজীবী  নাসরিন সুলতানা বলেন , ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি তিনমাস বাসটার্মিনাল থেকে কলাতলী ডলফিন মোড় পর্যন্ত তীব্র যানজট লেগেই থাকে। বিশেষ করে সকালে যানজটের তীব্রতা বেড়ে যায়। যার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয় পর্যটক ও স্থানীয় সাধারণ মানুষের। দীর্ঘক্ষণ জ্যামে বন্দী থাকার পর অনেকে  বাধ্য হয়ে  জেল গেইট থেকে হেঁটে কলাতলী ডলফিন মোড়  পর্যন্ত চলে যায়। 
শিক্ষার্থী ইদরাক আলমগীর  বলেন, সকালে  জ্যামে বন্দী ছিলাম প্রায় ১ ঘণ্টা। সকাল ৯ টায় ক্লাস থাকায় বাসা থেকে ১ ঘণ্টা আগে বের হয়েও ক্লাসটা মিস হয়ে গেল। এই রোডে প্রতিদিন তীব্র যানজট লেগেই থাকে। যানজট নিরসনে কর্তৃপক্ষের দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ চুখে পড়ে নাই । 
ট্রাফিক পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এখন গাড়ির চাপ একটু বেশি তাই কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।  আদর্শ গ্রাম রাস্তার মাথায়  সড়ক ও জনপদ বিভাগ গাড়ি ইউটার্ন করার জায়গাটি প্রশস্ত করার কথা ছিল। তারা দ্রুত  কাজটি করে দিলে একটু হলেও  ভোগান্তি কম হত। 
সরাসরি কলাতলী ও ডলফিন মোড়ে গাড়ি প্রবেশের প্রশ্নে তিনি জানান, ওবিটি এ্যাপসের মাধ্যমে পর্যটকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রিজার্ভ ট্যুরিষ্ট বাস শহরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয় । তাদের অনুমতি দেয়া না হলে জ্যাম লিংকরোড় পর্যন্ত ছাড়িয়ে যেতো বলে মন্তব্য করেন তিনি। 
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম  আরও জানান, আজ থেকে চার বছর আগেও বাসটার্মিনাল সচল ছিল। কিন্তু নানা কারণে সেটি এখন নিস্ক্রিয় হয়ে গেছে। বাসটার্মিনাল পুরোপুরিভাবে সচল করা গেলে যানজট অনেকটা  কমে আসবে বলে জানান তিনি।কক্সবাজার সচেতন মহলের দাবি ভেঙ্গে পড়া ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সংশোধন করে শহরবাসী ও পর্যটকদের কে যানজট থেকে মুক্ত করার দাবি জানান।